গোপাল দেবনাথ – গত ২৭ বছর ধরে ডিজাইন, ফ্যাশন, বিজনেস অ্যান্ড মিডিয়ায় ভারতের প্রথম সারির ইনস্টিটিউট পার্ল অ্যাকাডেমি পা রাখল পূর্ব ভারতে। ইতিমধ্যেই কলকাতায় তাদের ক্যাম্পাসের উদ্বোধন হয়েছে। এটা পার্ল অ্যাকাডেমির ষষ্ঠ ক্যাম্পাস। অন্য ক্যাম্পাসগুলি রয়েছে দিল্লি, নয়ডা, মুম্বই, জয়পুর এবং বেঙ্গালুরুর নতুন ক্যাম্পাস। ভারতের অন্যান্য অংশের মতো, পার্ল অ্যাকাডেমির কলকাতা ক্যাম্পাসে রয়েছে ৩০টি বিশেষভাবে পরিকল্পিত স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পেশাদারি উন্নতির পাঠক্রম। এগুলি পড়ানো হয় স্কুল অফ ডিজাইন, স্কুল অফ ফ্যাশন, স্কুল অফ কনটেমপোরারি মিডিয়া এবং স্কুল অফ নিউ এজ বিজনেসের মাধ্যমে। ভারতে ও বিদেশে ওয়ার্কশপ, মাস্টারক্লাস, শিল্প প্রকল্প ও ফ্যাশন সপ্তাহের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা পাবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের সেরা শিক্ষকদের কাছে শেখার সুযোগ, পাবে সৃজনশীল ল্যাবরেটরি ও হাতেকলমে শিক্ষার সুযোগ। পার্ল অ্যাকাডেমি তাদের ৯৯% ছাত্রছাত্রীদের চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়। পার্ল অ্যাকাডেমির স্নাতকদের চাকরিতে নেওয়ার জন্য ৫০০র বেশি কোম্পানি প্রতি বছর এই প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে আসে। কলকাতা ক্যাম্পাসের উদ্বোধন ঘোষণার পর পার্ল অ্যাকাডেমির প্রেসিডেন্ট নন্দিতা আব্রাহাম বলেন, “সারা বিশ্বে কলকাতার সাংস্কৃতিক প্রভাবের কথা বিবেচনা করে, আমাদের পরবর্তী স্বাভাবিক পদক্ষেপই হল এই শহর। সৃজনশীল পাঠক্রমে যাঁরা সেরা পেশাদারি শিক্ষা পেতে চান তেমন আকাঙ্ক্ষীদের সামনে নতুন নতুন সুযোগের রাস্তা খুলে দেবে পার্ল অ্যাকাডেমির কলকাতা ক্যাম্পাস। এই শহর শিল্পকলা, সংস্কৃতি, সিনেমা, থিয়েটার, ফ্যাশন, লোক- ঐতিহ্যের প্রাণকেন্দ্র। এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সৃজনশীল ক্ষেত্রে রয়েছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। সেই শহরে পা রাখতে পেরে আমরা উত্তেজিত। গত প্রায় তিন দশক ধরে সেরা সৃজনশীল শিক্ষা দেওয়াই আমাদের ঐতিহ্য। এই অঞ্চলের প্রাণবন্ত সৃজনশীল পরিবেশে আরও অবদান রাখার বিপুল সম্ভাবনা আমরা দেখতে পাচ্ছি।’
কলকাতা ক্যাম্পাসের জন্য ভর্তি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। যাঁরা যোগ্যতার মাপকাঠি পূরণ করতে পারবেন, তাঁদের জন্য ১০০% স্কলারশিপ ঘোষণা করেছে পার্ল অ্যাকাডেমি। কলকাতা ক্যাম্পাসের প্রথম ব্যাচ শুরু হবে ২০২০ সালের জুলাই মাসে।শিক্ষা ও শিল্প জগতের যারা পার্ল অ্যাকাডেমি যাদের সঙ্গে সম্পর্কিত ফ্যাশন ও ডিজাইন শিক্ষায় একেবারে প্রথম সারিতে রয়েছে পার্ল অ্যাকাডেমি। ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (এফডিসিআই), অ্যাসোসিয়েশন অফ ডিজাইনার্স অফ ইন্ডিয়া (এডিআই), ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিযান ইন্টিরিয়র ডিজাইনার্স (আইআইআইডি), ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (এনএসডিসি)র মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একটা গভীর ও সফল সম্পর্ক রয়েছে পার্ল অ্যাকাডেমির। এই সম্পর্ক জ্ঞান ও দক্ষতা বিনিময়ের একটা শক্তিশালী সেতু তৈরি করে। পার্ল অ্যাকাডেমি তাদের ছাত্রদের আন্তর্জাতিক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগও করে দেয়। এজন্য ইউনিভার্সিটি অফ ডার্বি, ইটালির ডোমাস অ্যাকাডেমি, অস্ট্রেলিয়ার টরেন্স ইউনিভার্সিটি এবং দ্য হেগ—এর রয়্যাল অ্যাকাডেমি অফ আর্টসসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কোর্স করতে হয়। এছাড়াও, ইউ কে—র নটিংহ্যাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটির (এনটিইউ) সঙ্গে সহগোগিতা শুরু হয়েছে যাতে বেশ কিছু স্নাতকোত্তর স্তরের পাঠক্রমে আন্তর্জাতিক স্তরের ডিগ্রি ও স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ হয়।
পার্ল অ্যাকাডেমি ও কর্মসংস্থানে গুরুত্ব
ফ্যাশন, ডিজাইন, মিডিয়া এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিশ্বের প্রথম সারির সংস্থাগুলি প্রতি বছর পার্ল অ্যাকাডেমির ছাত্রছাত্রীদের নিয়োগ করে। এই তালিকার মধ্যে রয়েছে ঋতু কুমার, অঞ্জু মোদি, মিন্ত্রা, এইচ অ্যান্ড এম, আইটিসি, আদিত্য বিড়লা, ডব্লিউ, জিএপি, বারবেরি, বিবিসি নিউজ, স্কুপ হুপ, আইবিএম, অ্যাকশেনচার, ওয়াল্ট ডিজনি এবং অন্যান্য। ক্রিয়েটিভ এডুকেশন এবং ভবিষ্যতের কাজ ২০১৭ ম্যাককিনসে গ্লোবাল স্টাডি অনুযায়ী অটোমেশনের কারণে সবচেয়ে কম প্রভাবিত হবে সৃজনশীল ও ডিজাইনের পেশা। ইন্ডিয়া স্কিল রিপোর্ট ২০১৯ বলছে, নতুন যুগের ৬০% চাকরি হবে ডিজাইন, অ্যানালিটিক ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, নতুন যুগের দক্ষতার জন্য প্রতি ৫ জনকে নেওয়া হলে তাদের মধ্যে একজনকে নেওয়া হবে ডিজাইনের কাজের জন্য। এটা সব শিল্পের জন্যই সত্যি। ওয়ার্লড ইকনমিক ফোরামের মতে, ভবিষ্যতের জন্য সৃজনশীলতা হল অন্যতম সেরা তিনটি দক্ষতার মধ্যে একটি। বাকি দুটি হল জটিল সমস্যার সমাধান ও বিশ্লেষণমূলক চিন্তা করতে পারা। ক্যাম্পাসগুলি রয়েছে দিল্লি, নয়ডা, মুম্বই, জয়পুর এবং বেঙ্গালুরুর নতুন ক্যাম্পাস। ভারতের অন্যান্য অংশের মতো, পার্ল অ্যাকাডেমির কলকাতা ক্যাম্পাসে রয়েছে ৩০টি বিশেষভাবে পরিকল্পিত স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পেশাদারি উন্নতির পাঠক্রম। এগুলি পড়ানো হয় স্কুল অফ ডিজাইন, স্কুল অফ ফ্যাশন, স্কুল অফ কনটেমপোরারি মিডিয়া এবং স্কুল অফ নিউ এজ বিজনেসের মাধ্যমে। ভারতে ও বিদেশে ওয়ার্কশপ, মাস্টারক্লাস, শিল্প প্রকল্প ও ফ্যাশন সপ্তাহের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা পাবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের সেরা শিক্ষকদের কাছে শেখার সুযোগ, পাবে সৃজনশীল ল্যাবরেটরি ও হাতেকলমে শিক্ষার সুযোগ। পার্ল অ্যাকাডেমি তাদের ৯৯% ছাত্রছাত্রীদের চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়। পার্ল অ্যাকাডেমির স্নাতকদের চাকরিতে নেওয়ার জন্য ৫০০র বেশি কোম্পানি প্রতি বছর এই প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে আসে।
কলকাতা ক্যাম্পাসের উদ্বোধন ঘোষণা করে পার্ল অ্যাকাডেমির প্রেসিডেন্ট নন্দিতা আব্রাহাম বলেন, “সারা বিশ্বে কলকাতার সাংস্কৃতিক প্রভাবের কথা বিবেচনা করে, আমাদের পরবর্তী স্বাভাবিক পদক্ষেপই হল এই শহর। সৃজনশীল পাঠক্রমে যাঁরা সেরা পেশাদারি শিক্ষা পেতে চান তেমন আকাঙ্ক্ষীদের সামনে নতুন নতুন সুযোগের রাস্তা খুলে দেবে পার্ল অ্যাকাডেমির কলকাতা ক্যাম্পাস। এই শহর শিল্পকলা, সংস্কৃতি, সিনেমা, থিয়েটার, ফ্যাশন, লোক—ঐতিহ্যের প্রাণকেন্দ্র। এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সৃজনশীল ক্ষেত্রে রয়েছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। সেই শহরে পা রাখতে পেরে আমরা উত্তেজিত। গত প্রায় তিন দশক ধরে সেরা সৃজনশীল শিক্ষা দেওয়াই আমাদের ঐতিহ্য। এই অঞ্চলের প্রাণবন্ত সৃজনশীল পরিবেশে আরও অবদান রাখার বিপুল সম্ভাবনা আমরা দেখতে পাচ্ছি।’
Be First to Comment