সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: কলকাতা, সভ্যতার শুরু থেকেই মানুষ অন্যের কাছে নিজেকে আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে প্রসাধনের আবিষ্কার করেছে । বিজ্ঞানীদের গবেষণা বলছে,বয়সের ছাপ মুছে ফেলতে সে যুগের মানুষেরা সোনা , মুক্তো ও হীরের ব্যবহার করত।রূপচর্চার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন – মিশরের ক্লিওপেট্রা, ফ্রান্সের ম্যাডাম প্যপিদু, বাইজন্টিয়ার থিওডোরা এবং ভারতের নুর্জাহান। প্রসাধনী শিল্পকে পুরোহিতদের হাত থেকে ছিনিয়ে ধর্মীয় আচার কে প্রতিহত করে শিল্পটিকে চিকিৎসা শিল্পের অন্তর্গত করেন আজকের ফেস মাস্ক এর প্রবর্তক রাণী ক্লিওপেট্রা।
বাইজেন্টাইন সভ্যতায় ইস্তাম্বুলের রাজা ছিলেন জস্টিনিয়ন।তার রাণী থিওডোরা প্রসাধনের বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনেন। বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা তার সময়েতেই শুরু।সেযুগের গবেষক গাই দ্য শৌলক (১৩০০_১৩৬৮) চিকিৎসা শাস্ত্রের ওপর একটি গ্রন্থ লেখেন ম্যান্ডেভিল।এই গ্রন্থের ২৪ পরিচ্ছদে তিনি লিখেছেন প্রসাধনী বিষয়।কসমেটিক সার্জারির হোতাও ছিলেন তিনি।
সবচেয়ে মজার ঘটনা ঘটে ইংল্যান্ডে।
রাণী প্রথম এলিজাবেথ চেয়েছিলেন, এক ঢিলে দুই পাখি মারতে।একদিকে পুরোহিতদের হাতে রাখা, অন্যদিকে প্রসাধন ব্যবহার।তিনি ফতোয়া জারি করে বলেন, রাজ্যের কোনও নারী যদি কৃত্রিম কেশ, স্পেনের হেয়ার প্যাড, মেকআপ, ফলস হিপ, হাইহিল জুতো ব্যবহার করে রাজ্যের পুরুষদের প্রলুব্ধ করে তাহলে তাকে বা তাদের ডাইনি হিসেবে ঘোষণা করে শাস্তি দেওয়া হবে।
এরপর সময়ের স্রোতে কেটেছে। বহুকাল ।আজ বিশ্ব বানিজ্যে প্রসাধনী শিল্পের বাজার বিশাল।
গত বৃহস্পতিবার কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে অনুষ্ঠিত হলো শিবানী গ্রুপের ট্রেস বেলে প্রোডাক্টের শুভ সূচনা।
প্রথম পর্যায়ে বাজারে আসছে কালার কসমেটিক। দ্বিতীয় পর্যায়ে আসছে স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট।তৃতীয় পর্যায়ে কেশচর্চার প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট।
এই উপলক্ষে নিশিরাতে শুরু হয় কসমো ফ্যাশন শো। কোরিওগ্রাফি ও স্টাইলাইজড এর দায়িত্বে ছিলেন কৌশিক ও রজত ।শহরের সেরা সুন্দরীরা করলেন রাম্প শো। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ব্যান্ড এ্যামবাসাডর রিচা শর্মা।
Be First to Comment