সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: কলকাতা, এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।ভারতেও আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় একশো ছুঁয়েছে।প্রশাসন বিপর্যয় হিসেবে দেশে জরুরি সতর্কতা ঘোষণা করেছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, যদিও এই করোনা ভাইরাসের জেরে মৃত্যুর হার কম, কিন্তু দ্রুত ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে সুস্থ মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। তাই করমর্দন না করা, কমপক্ষে এক মিটার দূরত্বে থাকা, মুখে চোখে হাত না দেওয়া, ঘন ঘন সাবান দিয়ে স্যানিটাইজার দিয়ে ভালো করে হাত দেওয়া, ভিড় হয় এমন স্থান এড়িয়ে চলা ইত্যাদি সাবধান বাণী চিকিৎসকেরা দিচ্ছেন। পাশাপাশি সুস্থ মানুষের মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা নেই। একমাত্র যাঁরা সর্দিকাশি তে ভুগছেন তারাই সাধারণ মাস্ক ব্যবহার করলেই চলবে। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, বাড়ি অফিস বা বিনোদনমূলক কেন্দ্রগুলির এয়ার কন্ডিশনার
মেশিন থেকেও এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। ক্যালি ফর্নিয়ায় প্রিন্স নামে এক ক্রুজের যাত্রীদের কয়েক
জনকে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাঁদের কোয়ারেন টাইনে অর্থাৎ আলাদা সুরক্ষিত স্থানে পর্যবেক্ষণের জন্য রাখা হয়।
সেই ঘরের এয়ার ডাস্টে মিলেছে করোনা ভাইরাস। সিঙ্গাপুরের এক সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজ একটি পরীক্ষায় প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করেছে। এই পরীক্ষার খবরটি আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের এক মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। আমেরিকান বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এয়ার কন্ডিশনার মেশিনে ৫ হাজার ন্যানোমিটারের থেকে ছোট পার্টিকলগুলিকে আটকাতে পারে না। সার্স ভাইরাসের মাপ ছিল ১২০ ন্যানোমিটার। কিন্তু করোনা ভাইরাসের মাপ এখনও জানা যায়নি।সুতরাং এয়ারকন্ডিশন মেশিন থেকেও করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা থেকেই যায়। যদিও চিহ্নিত ক্রুজের পরিচালন কমিটি জানিয়েছে, তাঁদের ক্রুজের এয়ারকন্ডিনেশন মেশিনের বাতাসের ক্ষুদ্র পার্টিকল আটকানোর ক্ষমতা আছে।
Be First to Comment