পিন্টু মাইতি: কলকাতা, ১০ মে ২০২০। সমগ্র ভারত তথা বিশ্ব কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইতে সামিল হয়েছ, পাশাপাশি প্রান্তিক ও দিন আনা দিন খাওয়া দের মধ্যেও দেখা দিয়েছে বেঁচে থাকার লড়াই। সেই সাথে মারণ ভাইরাস সম্পর্কে অসচেতনতা ও অজ্ঞতার ফাঁদে পা দিয়ে বিপন্নতাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এক দল মানুষ। কিন্তু সমাজটা এখনও টিকে রয়েছে বেশকিছু দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মানুষ ও সংগঠনের জোরে। এই কঠিন সময়ে তাঁরা হাল ধরেছেন। দারিদ্রতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের রসদ যোগান দিয়ে যারা এখনো পর্যন্ত লকডাউনের ৪৬ দিন সেই সমস্ত মানুষদের বেঁচে থাকার মহৌষধি দিয়ে এসেছে, তারা হল বরানগর ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন নামক স্বনামধন্য সংগঠনটি।
২২শে মার্চ থেকে তাঁরা সন্নিহিত অঞ্চলের প্রান্তিক ও দিন আনা দিন খাওয়া এগারোশো মানুষের হাতে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে আসছেন। পরিস্থিতির শিকার সেই সমস্ত মানুষের অধিকাংশের না ছিল রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা কিংবা জ্ঞাতব্য বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা। করা এবং না করা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অজ্ঞতার ফলে তাঁরা দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন তাদের শিক্ষা-সংস্কৃতি বোধকে শান দিয়ে খাদ্য তুলে দেওয়ার পাশাপাশি রোগ সম্পর্কে সচেতনতার পাঠ দিতে শুরু করে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে তাঁরা মাস্ক, হ্যান্ডওয়াশ, স্যানিটাইজার ইত্যাদি ন্যূনতম স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপকরণ বিলি করা ছাড়াও দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে সচেতনতার কাজগুলি করে চলেছেন। সংগঠনের প্রতিটি সদস্য যেভাবে আন্তরিকতার সাথে নিজেদের নিয়োগ করেছেন ক্লাব সম্পাদক সোমনাথ সরকার সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সারা বছর যেভাবে তাঁরা সমাজসেবামূলক কাজ করে আসেন তার থেকেও ব্যতিক্রমী এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইতে সামিল হতে পেরে অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে। কাছ থেকে দারিদ্রতা দেখা ও তার সঙ্কটমোচনে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া এক অন্য ধরনের অভিজ্ঞতা। অন্যান্যদের মধ্যে যাঁরা প্রথম সারিতে থেকে কর্মসূচিকে সফল করে চলেছেন, তাঁরা হলেন অন্যতম যুগ্ম সম্পাদক সনাতন সরকার। ক্লাব সভাপতি দীপক তরফদার, সহ-সভাপতি সোমনাথ দাস সমেত উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে অরুণ গাঙ্গুলী, পিকলু দে, কমল বোস, সুবল ঘোষ, জয়ন্ত কর্মকার, সুশান্ত ঘোষ, অমিত হোড়, যুবরাজ সরকার প্রমুখেরা উল্লেখের দাবি রাখেন।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যারা এখনো পর্যন্ত সামিল হয়েছে তাদের মধ্যে কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন সেটাকে আরও জোরদার করে তুলেছেন বলে সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে। তবে মানুষকে সাহায্য এবং WHO-র গাইডলাইন মেনে সচেতনতা ও সুরক্ষার কাজে সফল হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাছে তাঁরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
ছবি: সুবল সাহা
Be First to Comment