অশোক দে: কল্যাণী, কণ্ঠশিল্পী বিদূষী শিপ্রা বসু-র স্মরণে “অলঙ্কার” আয়োজিত ২২ তম শাস্ত্রীয় সঙ্গীতানুষ্ঠান হয়ে গেল কল্যাণী ঋত্বিক সদনে। এবারের আকর্ষণ ছিল দিল্লি আগত কিরানা ঘরানার কণ্ঠশিল্পী পঃ হরিশ তেওয়ারি এবং তবলাশিল্পী পঃ সুভাষকান্তি দাস। গায়ক তেওয়ারির প্রথম নির্বাচন রাগ মারু বেহাগ। সীমিত সময়ে মুক্তআলাপ সেরে এলেন বন্দিশ নির্ভর বিলম্বিত একতালে। পরের অন্তরার বন্দিশেও সেই মেজাজ রক্ষিত ছিল।বিস্তারিত বোল-বাট, সরগমতান, আকারতান, ছুটতান সবই ছিল মনোরম। ওই রাগেই শোনান তিনতাল নিবদ্ধ দ্রুত বন্দিশও। এবং গুরু ভীমসেন যোশী প্রবর্তিত দুরূহ তানকারিকে তেওয়ারি অনায়াসে যে আয়ত্ত করেছেন তাও লক্ষ করা গেল! শ্রোতাদের অনুরোধে কলাশ্রী-র আশ্রয়ে শোনালেন ছোট খেয়াল(তিনতাল)। শেষে দুটি বিখ্যাত ভজন “বাজেরে মুরলিয়া” ও যো ভজে হরিকো সদা”গেয়ে তাঁর আসর সমাপন করেন।সঙ্গী তবলাবাদক ফারুকাবাদ ও বেনারস ঘরানার বাদনশৈলীকে অনুসরণ করেও কমনীয় আঙুলে তাঁর স্বকীয়তার যথার্থ ছাপ রাখেন।
হারমোনিয়ামে যথাযথ সহযোগিতায় ছিলেন সোমেন পোদ্দার। কিরানা ঘরের আরেক কণ্ঠশিল্পী সুস্মিতা মুখার্জি শোনালেন রাগ ইমন। পরে বসন্ত বাহার। হারমোনিয়ামে ছিলেন অধ্যাপক রঞ্জন মুখার্জি আর তবলায় ছিলেন পঃ বিপ্লব ভট্টাচার্য। সূচনালগ্নে সংস্থার ছোট- বড় সদস্যরা পরিবেশন করেন রাগেশ্রী, কলাবতী ইত্যাদি রাগ। এই রম্য আয়োজনের নেপথ্যে ছিলেন পঃ অজয় চক্রবর্তী ও শিপ্রা বসু-র শিষ্যা আলপনা রায় তাঁকে ধন্যবাদ।
Be First to Comment