Press "Enter" to skip to content

এক মনে একতারাতে পারুলডাঙ্গার রীনা দাস…….

Spread the love

অশোক দে: বীরভূম, তিনি সচরাচর চমকপ্রদ, হালকা বা অগভীর গান করেন না। ১৪ বছর বয়স থেকে নিরন্তর সংগীত চর্চা করে চলেছেন। তাঁর প্রাথমিক গুরু বাবা সুধীর দাস বাউল। মা রাণী দেবী। পরে এলেন দিবাকর দাস। সংসার সামলানোর পাশাপাশি পারুলডাঙ্গার এই রীনা দাসকে প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিয়ে চলেছেন দিবাকর। রীনার দুই ছেলে মেয়ে পূর্ণেন্দু ( পূর্ণ) ও প্রতিমা দাস। জামাতা সুমন্ত দাস। সুমন্ত গায়ক আর পূর্ণেন্দু যন্ত্রী। আমাদের অতি পরিচিত গৌতম দাস বাউল হলেন তার নিজের ভাই।

বলতে গেলে সাংগীতিক পরিবার। গত ডিসেম্বরে পঃবঃ সরকার রীনাকে অলংকৃত করেছেন ‘সংগীত সম্মান’-এ। নারী স্বাধীনতার কথা ভেবে বীরভূমের এই গুণী শিল্পী বেঁধেছেন কয়েকটি গান। ৮ মার্চ ছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবস। পারুলডাঙ্গার আঙিনায় সবুজ লতাপাতা ঘেরা ফুল-ফল শোভিত বৈঠকখানার মুখোমুখি ছোট্ট পরিসরে বসে রীনা উপহার দিলেন সেদিনের তাৎপর্যময় এই গানটি : নরে মরে অহংকারে তাই নারীর মান্য তারা করে না। এছাড়া শোনালেন ‘ও ধিকি ধিকি জ্বলে'(ভবা পাগলা), ‘নব অনুরাগী যোগী'(যাদুবিন্দু) ইত্যাদি। এবং আরও দুটি রচনা।স্পষ্ট উচ্চারণ ব্যঞ্জনাময়। তাঁর উপস্থাপনার স্বকীয়তা শ্রোতাদের মোহিত করে। এর আগে দিবাকর শোনালেন ‘দূর করে দে মনের ময়লা'(ভবা),’ঘরে নাই রে আলো’ (হরিপদ গোঁসাই),এমন মানব জনম'(বেণীমাধব দাস), ‘চাঁদের গায়ে চাঁদ লেগেছে'(লালন)ও আরো দুটি প্রচলিত সংখ্যা। লালনের গান শোনান স্বরাজ ঘোষও (‘কৃষ্ণ প্রেমে পোড়া দেহ’)। বামাচরণ দাস বাংলা ঢোল বাজানোর পাশাপাশি গেয়েছেন বিরল মহাজনী পদ।সঙ্গী পূর্ণ ছিলেন ঢোল ও অন্যান্য যন্ত্রে। অনেক ব্যস্ততা সরিয়ে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ প্রদীপ সিন্ হা, ডাঃ অমিত বায়েন,ডাঃ অঞ্জুলা মুখার্জি, ডাঃ অরূপ বসু, শ্রীমতী পাপিয়া সিন্ হা প্রমুখ। সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় সকালের এই আসরটি মনোরম হয়ে উঠেছিল।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.