নিউজ স্টারডম: কলকাতা, ২৭ মে, ২০২০: বন্ধন ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে সমস্ত গ্রাহক ও সাধারণ জনগণকে জানানো হচ্ছে যে, সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু ভুয়ো খবরের পোস্ট ও বিভ্রান্তিকর ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে যেগুলিতে বলা হচ্ছে বন্ধন ব্যাঙ্কের ঋণের কিস্তি মকুব করে দেওয়া হয়েছে। এই খবর গুলির কোনো সত্যতা নেই। এই ভুয়ো খবর সম্পর্কে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শ্রী চন্দ্র শেখর ঘোষ সাংবাদিকদের জানালেন, “মোরাটোরিয়াম” শব্দটি অর্থাৎ ঋণের কিস্তি আদায় পিছিয়ে দেওয়া এবং সম্পূর্ণভাবে ঋণ মকুব করার মধ্যে বিশেষ পার্থক্য আছে। এখনো পর্যন্ত সরকারি নির্দেশে যা বলা হয়েছে, তা হলো ঋণের কিস্তি আদায় পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে, যদিও সেটা ঋণ সংস্থা ও ঋণ গ্রহীতার সিদ্ধান্তের উপরে নির্ভরশীল।
যদিও কিস্তি আদায় পিছিয়ে গেলেও ঋণের উপর সুদের হার বহাল থাকবে এবং কিস্তি বন্ধ থাকাকালীনও মোট ঋণের উপরে সুদ জমা হতে থাকবে। এর ফলে ঋণ গ্রহীতার উপর পরবর্তীকালে অতিরিক্ত কিস্তির বোঝা চাপতে পারে ও আরো বেশিদিন ধরে তাকে ঋণ পরিশোধ করতে হতে পারে। রিজার্ভ ব্যাংকের নির্দেশ অনুসারে, ইতিমধ্যেই বন্ধন ব্যাঙ্ক সমস্ত ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তির উপর মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত “মোরাটোরিয়াম” ঘোষণা করেছিল। এর পরেও গ্রাহকদের অনুরোধের ভিত্তিতে ঋণের কিস্তিতে মোরাটোরিয়াম-এর সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। এছাড়াও, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বা অন্যান্য ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সমস্ত নির্দেশাবলী মেনেই ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দেওয়া হবে। এই সংকটের সময়ে বন্ধন ব্যাঙ্ক সমস্ত রকম সহায়তা নিয়ে তার গ্রাহকদের পাশেই আছে। একটি দায়িত্বশীল ব্যাঙ্ক হিসেবে, ভবিষ্যতের সমস্যা এড়াতে, বন্ধন ব্যাঙ্ক তার গ্রাহকদের বিস্তারিত বুঝিয়ে দিচ্ছে যে তাদের বকেয়া ঋণের উপর মোরাটোরিয়াম-এর প্রভাব কি হতে পারে। আরো একবার, বন্ধন ব্যাঙ্ক সকল গ্রাহককে কোনো রকম ভুয়ো খবর পড়ে বিভ্রান্ত হওয়া থেকে সাবধান করছে। ব্যাঙ্কের তরফ থেকে এই ধরণের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঋণের কিস্তি সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা চ্যানেলগুলির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই আইনানুগ সমস্ত কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং লিখিত ভাবে অভিযোগ জমা করা হয়েছে। বন্ধন ব্যাঙ্ক তার গ্রাহকদের স্বার্থরক্ষার প্রতি দায়বদ্ধ এবং গ্রাহকদের স্বার্থেই তাদের এই জাতীয় ভুয়ো খবরের চ্যানেলগুলি এড়িয়ে চলতে বলা হচ্ছে। যে সমস্ত ঋণগ্রহীতারা ঋণ বা ঋণের কিস্তি সম্পর্কে বিশদে জানতে চান, তারা সরাসরি নিকটবর্তী শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
Be First to Comment