নীলাদ্রি দাস : ৪ জুলাই, ২০২১। ১৯৯৯ এর সুপার সাইক্লোন এর সময় দুটো ময়ূর উড়ে চলে আসে এই পাণ্ডববর্জিত naraj peacock valley যেটা আগে উড়িষ্যা পুলিশের ফায়ারিং স্টেশন ছিল, উড়িষ্যা পুলিশে কর্মরত শ্রীযুক্ত পানু বেহেরা ঐ দুটি কে খাইয়ে সুস্থ করে তোলেন এবং এবং সেই থেকে ময়ূর দুটি সেখানেই রয়ে যায়, পানুবাবুর পর দেখাশোনা করেন তার নাতি কানু বেহেরা, দাদুর শেষ ইচ্ছে অনুসারে ময়ূরের দেখাশোনা করার জন্য নিজেকে নিয়োজিত করে দেন কানু। কানু ডাকলেই ময়ূরের খেতে আসে আবার কানু বললেই ময়ূরের চলে যাই. আজকে পিকক ভ্যালিতে ময়ূরসংখ্যা বর্তমানে ১০০ ছাড়িয়ে গেছে।
দিনে দুইবার ময়ূরদের খাওয়ানো হয় সকালে ও বিকালে, আপনারা চাইলে ঘুরে আসতে পারেন নরাজ পিকক ভ্যালি, সাধ্যমত সাহায্য করতে পারেন ময়ূর এর খাবারের জন্য। পিকক ভ্যালি সম্পর্কে প্রথম আমি শুনতে পাই শ্রদ্ধেয় আশা ভোঁসলে জির কাছে, একবার আমরা একসাথে ভুবনেশ্বর ফিরছিলাম উনি গল্প করেছিলেন, উনি একবার ভুবনেশ্বর এসেছিলেন সেখান থেকেই পিকক ভ্যালি ঘুরে যান ওনার খুব ভাল লেগেছিল। পরবর্তী সময়ে কখনো নন্দনকানন বা ভুবনেশ্বর প্ল্যান করলে একবার ঘুরে আসতে পারেন পিকক ভ্যালি। নন্দনকানন থেকে পিকক ভ্যালি মাত্র কুড়ি কিলোমিটার, ভুবনেশ্বর থেকে পিকক ভ্যালি মাত্র ২৮ কিলোমিটার, কটক থেকে পিকক ভ্যালি মাত্র ১৫ কিলোমিটার, পুরি থেকে পিকক ভ্যালি মাত্র ৯০ কিলোমিটার। করোনা অতিমারীর প্রকোপ একটু কম হলে ময়ূরের সাথে একটু সময় কাটতেই পারেন।
Be First to Comment