মধুমিতা শাস্ত্রী: ২০মে, ২০২০। আজ বিকেল থেকে সন্ধের মধ্যে ভূখণ্ডে আছড়ে পড়তে চলেছে চরম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় উমপুন। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের অনুমান, ১৬০-১৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিবেগে আছড়ে পড়তে চলছে এই ঝড়, যা গত বছরের নভেম্বরে হওয়া বুলবুল ঝড়ের থেকেও সাংঘাতিক। কলকাতায় অবশ্য এর গতি হবে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। মূলত পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা এবং হাওড়ায় এর প্রভাবে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
এই আশঙ্কা থেকেই নদী ও সমুদ্র উপকূলে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্থানীয় সাইক্লোন সেন্টার, স্কুলবাড়ি ও সরকারি অতিথিশালাগুলিতে। কাঁচাবাড়ি এবং খুব পুরানো পাকাবাড়িও এই ঝড়ের প্রভাবে ভেঙে পড়তে পারে। প্রচুর গাছপালা, বাগান শস্যখেত এবং বিদ্যুতের খুঁটি এই ঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের তরফে মাইকে সাবধানতা বার্তা প্রচার করা হচ্ছে। মোবাইলে এস এম এসের মাধ্যমেও সাবধান করা হচ্ছে নাগরিকদের। তৈরি বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
এন ডি আর এফ বা ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের ১৩ টি দল ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঝড়ের প্রভাবে গতকাল সকাল থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। দীঘা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের হাতাই দ্বীপ এই বিস্তীর্ণ এলাকা দিয়ে উমপুন ভূখন্ডে প্রবেশ করবে। যার ফলে সুন্দরবন এলাকায় যথেষ্ট ক্ষতির সমভবনা রয়েছে। মৎসজীবিদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
এখনও বুলবুল ঝড়ের ক্ষত মোছেনি সুন্দরবন অঞ্চল থেকে। তার আগেই আবার এই উমপুন রাজ্য প্রশাসনকে যথেষ্ট চিন্তায় রেখেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উমপুনের প্রভাবে ঝড়বৃষ্টি চলতে পারে। প্রায় ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
Be First to Comment