গোপাল দেবনাথ: ১৬ এপ্রিল ২০২৯ । ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন যে সকল বিদ্যালয় গুলি অবদান রেখেছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর টাউন স্কুল ছিল অন্যতম। এক সময় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পিঠস্থান বলে গণ্য করা হতো। সারা বিশ্বের করোনার পাশাপাশি এই দেশ তথা এই রাজ্যেও কোরোনা ভাইরাসে বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। রাজ্য সরকার করোনা মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে সংকটকালে মানুষের পাশে দাঁড়াতে রাজ্য সরকারের পাশাপাশি এবার এগিয়ে এলো , দেশের সেই স্বাধীনতা আন্দোলনের ঐতিহ্যে ঐতিহ্যমন্ডিত মেদিনীপুর শহরের শতাব্দী প্রাচীন হেরিটেজ বিদ্যালয় মেদিনীপুর টাউন স্কুল (বালক)।
এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের তরফে সম্মিলিত ভাবে ৫১ হাজার টাকার অনুদান তুলে দেওয়া হলো মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। বুধবার রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে ভূষিত ও রবীন্দ্র গবেষক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড.বিবেকানন্দ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটি প্রতিনিধি দল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা শাসক প্রণব বিশ্বাসের হাতে ৫১ হাজার টাকার চেকটি তুলে দেন। পরাধীন ভারতে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম আঁতুড়ঘর ছিল ১৮৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার অন্যতম প্রাচীন এই স্কুল। এই বিদ্যালয়ের চারজন ছাত্র দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মাহুতি দিয়েছেন। শুধু তাই নয় বিপ্লবীদের অস্ত্রগুরু হেমচন্দ্র কানুনগো এই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড.বিবেকানন্দ চক্রবর্তী বলেন, মারণ ভাইরাস করোনার আক্রমণে গোটা বিশ্ব, গোটা দেশ, গোটা পশ্চিমবঙ্গ আজ বিপন্ন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্তরিক ভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করে চলেছেন।
Be First to Comment