সুজিৎ চট্টোপাধ্যায় : ১৯৪২এ গান্ধীজির ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগ দেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ঘনশ্যামদাস বিড়লা। উদ্বুদ্ধ হন ভারতীয় পুঁজি ও দেশীয় অর্থনীতির বুনিয়াদ গড়ে তোলার পরের বছর ১৯৪৩ সালে গড়ে তোলেন দেশীয় ব্যাঙ্ক ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক। ১৯৬৯সালে ১৯শে জুলাই ভারত সরকারের সিদ্ধান্তে যে তেরোটি ব্যাঙ্ক রাষ্টীয়করণ হয় তার অন্যতম ছিল এই ব্যাঙ্ক। নতুন নামকরণ হয় ইউকো ব্যাঙ্ক। প্রথম ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাদিবস ছিল ৬জুয়ারি।২০২০তে ইউকো ব্যাঙ্ক ৭৭তম বর্ষে পদার্পণ করলো। এই উপলক্ষে ব্যাংকের পরিচালকমণ্ডলী কলকাতার ইউকো ব্যাংকের প্রধান শাখায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হন ব্যাংকের এম ডি এ কে গোয়েল, কার্যনির্বাহী পরিচালক অজয় ব্যাস এবং পরিচালন কমিটির সচিবেরা। এ কে গোয়েল জানান , দেশে এই মুহূর্তে দুহাজার শাখা আছে। এছাড়া বিদেশের সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ে দুটি শাখা আছে।
কোলকাতাস্থিত প্রধান শাখার ঐতিহ্য নিয়ে দেশব্যাপী গ্রাহক স্বার্থে বেশ কিছু প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে। রাজস্থান, ওডিশা ও পাঞ্জাবে নতুন তিনটি রুরাল সেলফ এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। সারা দেশে এমন সেন্টারের সংখ্যা সাতাশ। ৭৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ইউকো কার্নিভাল ক্যাম্পেন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। খুচরো ব্যাবসায়ে এবং এম এস এম ই প্রকল্পে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ইন্টারেক্টিভ ভয়েস রেসপন্স নির্ভর ফোন ব্যাঙ্কিং সিস্টেম এবং অনলাইন একাউন্ট ওপেনিং, ভার্চুয়াল কার্ড ইস্যুয়েন্স ব্যবস্থা ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে পরিষেবার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ডেবিট কার্ড ব্যাতিত সুরক্ষাযুক্ত পরিষেবা, ইন্টারনাল ব্যাঙ্কিং সহ বহু গ্রাহক স্বার্থের উপযোগী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ২০১৮-২০১৯ এর তুলনায় চলতি আর্থিক বছরে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। স্বর্ণঋণ, গৃহঋণের ক্ষেত্রেও অন্য রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের তুলনায় কম সুদ ধার্য্য হয়েছে ইউকো ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমন পরিষেবার মানের দিকেও কঠোর দৃষ্টি রাখা হয়েছে। ইউকো ব্যাংকের স্লোগান, “অনার্স ইওর ট্রাস্ট”।








Be First to Comment