শু ভ জ ন্ম দি ন না য় ক আ ল ম গী র
বাবলু ভট্টাচার্য : তিনি সব সময়ই একজন অভিনেতা হবারই চেষ্টা করেছেন। অভিনেতা হিসেবে কলেজ জীবনে নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে তার যাত্রা শুরু হলেও মূলত ১৯৭২ সালের ২৪ জুন প্রয়াত বরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক আলমগীর কুমকুমের নির্দেশনায় ‘আমার জন্মভূমি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। তিনি নায়ক আলমগীর।
১৯৫৬ সালে নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এর প্রযোজক ছিলেন দুদু মিয়া। তিনি নায়ক আলমগীরের বাবা। সেই সুত্রেই সিনেমার সাথে ছোটবেলা থেকেই আলমগীরের পরিবারের জানাশোনা।
আলমগীর শুধু চলচ্চিত্রে একজন অভিনেতা হিসেবেই থেমে থাকেননি তিনি একাধারে একজন প্রযোজক, পরিচালক ছিলেন। সেই সময় সকল প্রযোজক-পরিচালকের কাছে আলমগীর ছিলেন সবচেয়ে আস্থাশীল ও নির্ভরশীল একজন অভিনেতা।
কলেজ পড়ুয়া তরুণ ছাত্র, পুলিশ অফিসার, মাস্তান, গ্রাম্য যুবক, সহজ সরল বোকা যুবক, ব্যর্থ প্রেমিক, রাজকুমার, বড় ভাই, পিতা সহ সব ধরনের চরিত্রে আলমগীর ছিলেন সফল।
আলমগীর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো : ‘আমার জন্মভুমি’, ‘দস্যুরানী’, ‘মণিহার’, ‘দেনা পাওনা’, ‘জিঞ্জির’, ‘নানটু ঘটক’, ‘ওস্তাদ সাগরেদ’, ‘সবুজ সাথী’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘ভাত দে’, ‘মা ও ছেলে’, ‘ন্যায় অন্যায়’, ‘ক্ষতিপুরণ’, ‘রাঙা ভাবী”, ‘পিতা মাতা সন্তান’, ‘শাসন’, ‘দেশপ্রেমিক’, ‘স্নেহ’, ‘সংসারের সুখ দুঃখ’, ‘জজ ব্যারিস্টার’, ‘রাগ অনুরাগ’, ‘বাপের টাকা’ সহ প্রায় ২ শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেন।
১৯৮৬ সালে আলমগীর তার প্রযোজিত ‘নিস্পাপ’ ছবি নির্মাণের মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। উল্লেখ্য যে ‘নিস্পাপ’ ছবির একটি গানে আলমগীর কণ্ঠ দেন যা খুব জনপ্রিয় হয়েছিল।
১৯৮৫ সালে ‘মা ও ছেলে’ ছবির জন্য আলমগীর প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর ‘অপেক্ষা’, ‘ক্ষতিপূরণ’, ‘সত্য মিথ্যা’, ‘অন্ধ বিশ্বাস’, ‘পিতা মাতা সন্তান’ ও ‘দেশপ্রেমিক’ ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন- যা ছিল বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কোন অভিনেতার সর্বাধিকবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার লাভের বিরল ও একমাত্র ঘটনা।
আলমগীর ১৯৫০ সালের আজকের দিনে (৩ এপ্রিল) ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন।
Be First to Comment