রাজর্ষি মজুমদার : কর্ণধার দেবসাহিত্য কুটির প্রাইভেট লিমিটেড। কলকাতা, ২, ফেব্রুয়ারি, ২০২১। গত বছর করোনা অতিমারীর কারণে ২০২০ মানবজাতির জীবনে শতাব্দীর সেরা কালো বছর বলা যেতে পারে। সব ধরণের ব্যবসার সাথে সাথে বই এর ব্যবসা চূড়ান্ত ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই বছর এখনো পর্যন্ত কলকাতায় আন্তর্জাতিক বইমেলা আয়োজন করা সম্ভবপর হয়নি। বর্তমানে অতিমারীর প্রকোপ একটু কম হওয়ার ফলে রাজ্যের নানা স্থানে বইমেলা শুরু হয়ে গেছে। কলকাতায় হৃষিকেশ পার্কে সম্প্রতি বইমেলা উৎসব শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে গত ২১ শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ থেকে ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দক্ষিণ কলকাতার বুকে পালিত হলো পাবলিশার্স এন্ড বুক সেলার্স গিল্ড আয়োজিত, “একুশে বই উৎসব”।
যেহেতু কোভিড -১৯ এর কারণে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা জুলাই মাস পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গিল্ড কর্তৃপক্ষ। এটি তারই একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ মেলা বলা যেতে পারে। যেখানে একই সঙ্গে পালিত হলো আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবস এবং বইমেলা। সাউথ সিটি মল এর বিপরীতে ই ই ডি এফ গ্রাউন্ড এ এটির আয়োজন করা হয়।এই মেলার প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন গিল্ডের সভাপতি শ্রী ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় এবং গিল্ড সচিব শ্রী সুধাংশু শেখর দে। এই মেলার বিশেষত্ব ছিল ছিমছাম পরিবেশে সুন্দর ভাবে সাজানো সারি সারি প্রকাশকের স্টল।
দেব সাহিত্য কুটির, পত্রভারতি, দেজ পাবলিশিং, আনন্দ পাবলশার্স এঁদের মধ্যে অন্যতম বলা যেতে পারে। প্রতিটি স্টল একই ভাবে গঠন করা হয়েছিল এবং ধারে ধারে ভাষা শহীদদের ছবি এক অন্যরকম পরিবেশ সৃষ্টি করেছে বইববিক্রেতা ও ক্রেতাদের মনে। মাঠের তিন ধার ও মধ্যখানে ছিল সার বেঁধে স্টল আর মাঠের চতুর্থ দিকে ছিল মঞ্চ। একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসেই এই মেলার উদ্বোধন হয়।
৮ দিনের এই মেলা যেনো একরাশ বসন্তের বাতাসের মতো মানুষের মনে আবার সেই বইমেলার আনন্দ উৎসাহ জাগিয়ে তোলে। ছোট্ট মেলায় বইয়ের পাশাপাশি ছিল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ছিল আলোচনা সভা, পরিচিতি এবং কথোপকথন আর খাদ্যরসিক বাঙালিদের জন্য ছিল বিভিন্ন ফুড স্টল। সব মিলিয়ে মেলা চলাকালীন এই ৮ টা দিন আবার মানুষকে আনন্দিত ও আশান্বিত করেছে এবং অধীর আগ্রহে আমরা সবাই অপেক্ষা করে আছি। আমাদের সাথে সাথে বিশ্বের নানা প্রান্তের পুস্তক প্রকাশক এবং পাঠকরা ও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন আমাদের আগামী কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার জন্য।
Be First to Comment