বিশ্ব এইডস দিবস
বাবলু ভট্টাচার্য : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ১৯৮৮ সালে প্রতি বছর ১ ডিসেম্বর মাসকে বিশ্ব এইডস দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে- ‘সারা বিশ্বের ঐক্য, এইডস প্রতিরোধে সবাই নেব দায়িত্ব।’
এইচআইভি পজিটিভ রোগীর সংখ্যা পৃথিবীতে বর্তমানে ৩ কোটি ৪০ লক্ষ এবং এদের অর্ধেকই নিজের শরীরে এইচ আইভি’র উপস্থিতি জানে না।
এ দিকে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় এইডস/এসটিডি কন্ট্রোলের সর্বশেষ ২০১৯ সালের তথ্য মতে, দেশে বর্তমানে এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। এসব রোগীর মধ্যে এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়ে চিকিৎসার আওতায় এসেছে মাত্র ৭ হাজার ৩৭৪ জন। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতবর্ষে এইডস রোগীর সংখ্যা ২.১মিলিয়ন। এই সংখ্যাটা বিশ্বের মধ্যে তৃতীয়।
এইডস (অ্যাকোয়ার্ড ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম) হচ্ছে এইচআইভি নামক ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট এক ব্যাধি, যা মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা হ্রাস করে দেয়। এতে করে এক জন এইডস রোগী খুব সহজেই যে কোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন, যা শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু ঘটাতে পারে ।
এইচআইভি সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু এইডস হয় না। কিন্তু যে হেতু এক বার সংক্রামক এইচআইভি শরীরে ঢুকলে তাকে পুরোপুরি দূর করা এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি, তাই এইচআইভি সংক্রমণ হলে এইডস প্রায় অনিবার্য। তবে বিনা চিকিৎসায় এইডস পর্যায়ে পৌঁছতে যদি লাগে গড়ে দশ বছর তবে চিকিৎসার দ্বারা তাকে আরও কিছু বছর পিছিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু ‘হার্ট’ (এইচএএআরটি) নামে এইডস-এর যে কম্বিনেশন ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা পদ্ধতি তা অত্যন্ত খরচ সাপেক্ষ ৷
Be First to Comment