বাবলু ভট্টাচার্য: ঢাকা, আজ ১৭ মে। বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস। উচ্চ রক্তচাপ নীরব ঘাতক। বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ১৮০ কোটি লোক উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। তাঁদের মধ্যে ৫০ ভাগই জানেন না, তাদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংখ্যা জানাচ্ছে— বয়স ২০ থেকে ৩০-এর মধ্যে হলে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হন প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন। আর পঞ্চাশের কোটায় বয়স হলে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হন প্রতি ১০ জনে পাঁচজন। বয়স ৭০ বা তার বেশি হলে প্রতি দু’জনের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপ থাকবে। তাই নিজের রক্তচাপকে জানুন ও সতর্ক হোন। উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন কীঃ
উচ্চ রক্তচাপকে নীরব ঘাতক বলা হয়। আসলে রক্তস্রোত রক্তনালির দেয়ালে যে চাপ সৃষ্টি করে, সেটিই রক্তচাপ। স্বাভাবিক অবস্থায় এর পরিমাপ ১২০/৮০। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে রক্তচাপ খানিক বাড়তে থাকে। তখন এই পরিমাপের থেকে আর একটু বেশি চাপকেও স্বাভাবিক বলে ধরা হয়। তবে ওপরের চাপ ১৪০-এর বেশি বা নিচের চাপ ৯০-এর বেশি হলে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলে।
উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণঃ
বেশির ভাগ উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের কোনো লক্ষণ নেই। তবে মাথাব্যথা (বিশেষ করে ঘুম থেকে ওঠার পর), ঘাড়েব্যথা, চোখে কম বা ঝাপসা দেখা, মেজাজ সব সময় খিটখিটে থাকা, মনোযোগের অভাব ইত্যাদিকে লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। হার্ট ফেইলিওরের ঝুঁকি বাড়ায় চার গুণ, আর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও প্যারালাইসিস/পক্ষাঘাতের ঝুঁকি বাড়ায় সাত গুণ। এর সঙ্গে কিডনি ফেইলিওর আর চোখের ভেতর রক্তপাতের ঝুঁকি তো আছেই।
উচ্চ রক্তচাপে মানবদেহে যা ঘটেঃ
অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ থেকে হৃদযন্ত্রের মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। দুর্বল হৃদযন্ত্র রক্ত পাম্প করতে পারে না এবং এ অবস্থাকে বলা হয় হার্ট ফেইলিওর। রক্তনালির গাত্র সংকুচিত হয়ে হার্ট অ্যাটাক বা ইনফেকশন হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে, স্ট্রোক হতে পারে। এ ছাড়া চোখের রেটিনাতে রক্তক্ষরণ হয়ে অন্ধত্ব হতে পারে।
Be First to Comment