Press "Enter" to skip to content

অ্যামওয়ে’র উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন…..

Spread the love

গোপাল দেবনাথ/সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়:৭মার্চ ২০২০ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উৎসাহের সঙ্গে পালন করলো জে ভ্যান আন্দেল এবং রিচার্ড এম ডিভোস প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন দৈনন্দিন উপযোগী পণ্যের মুক্ত উদ্যোগী সংস্থা অ্যামওয়ে ইন্ডিয়া।দক্ষিণ কলকাতার বাইপাসের ধারে নিজস্ব কার্যালয়ে নারীর ক্ষমতায়ন শীর্ষক এক সেমিনার ও সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

উপস্থিত ছিলেন, কলকাতা পুলিসের উইমেন্স সেলের পক্ষে শৃঙ্খলা শর্মা, বিধাননগর পুলিসের নিউ টাউন ও ট্রাফিক টু সহকারী নগরপাল সম্বিতি চক্রবর্তী, অভিনেত্রী রূপঞ্জনা মিত্র ও মহিলা উদ্যোগী শোভা দত্ত। শৃঙ্খলা শর্মা বলেন , আরও দশজন মেয়ের মত আমাকে ও পারিবারিক সামাজিক বাধা পেরিয়ে চাকরিতে আসতে হয়েছে। বিশেষ করে পুলিশে চাকরি। কিন্তু নিজের প্রতি আস্থা আমাকে সাহস যুগিয়েছে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস এর উদ্দেশ্য তখনই সফল হবে যখন মেয়েরা সব বাধা কাটিয়ে নিজের অস্তিত্বকে প্রকাশ করবে। পুলিশ আধিকারিক সম্বিতি চক্রবর্তী বলেন, আমাদের সমাজব্যবস্থায় নারীর ব্যক্তি পরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বাধা থেকে গেছে। নিজের আত্মবিশ্বাস আর নিজেকে নিজে যদি সম্মান করা যায় সাফল্য মিলবেই। সমস্যাগুলি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে হবে। কঠিন হলেও সমাধান বেরিয়ে আসবে।

মেয়েরা শারীরিক শক্তিতে ছেলেদের তুলনায় পিছিয়ে কিন্তু জীবনীশক্তি তাদের এগিয়ে রেখেছে। দরকার উচিত প্রয়োগ।মাতৃত্বের যে কষ্ট নারীদের পেতে হয় তা যে কোনো যুদ্ধের চেয়ে কম নয়। মেয়েরা অতিরিক্ত সংবেদনশীল হওয়াতে অনেক সময় অনেক অন্যায় মুখ বুঝে সহ্য করেন। কিন্তু নিজের অস্তিত্ব হারিয়ে সেই আবেগকে প্রশ্রয় দিলে আখেরে তার পরিণতি ভালো হয় না।

নারী উদ্যোগী শোভা দত্ত বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে আমি এটুকু বলতে পারি স্থির চাকরি ছেড়ে অ্যামওয়ে প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা শুরুর একটা ঝুঁকি নেওয়ার সাহস পেয়েছিলাম নিজের প্রতি ভরপুর আস্থা ছিল বলে। এই আত্মবিশ্বাসের অভাবই মেয়েদের পিছিয়ে রাখে। অভিনেত্রী রুপাঞ্জনা মিত্র বলেন ,নারী পুরুষ আলাদা করে কোনো বিষয় আমি ভাবি না। মানুষের মানবিকতা হারিয়ে যাচ্ছে, সুস্থ রুচিবোধের অভাব বাড়ছে।

এগুলি আমাকে শঙ্কিত করে। পৃথিবীতে নারী অর্ধেক আকাশ হলেও পিছিয়ে আছে অনেকটাই। পুরুষ যদি একটু মানবিক হয়, সংবেদনশীল হয় তাহলে মেয়েদের অগ্রগতি হয়। নারীকে সম্মান করার শিক্ষা যদি ছেলেদের ছোট থেকে দেওয়া হয় তাহলে পৃথিবীর চেহারাটাই বদলে যাবে।

অ্যামওয়ে সংস্থার পক্ষে সহ সভাপতি (পূর্ব) চন্দ্রভূষণ চক্রবর্তী বলেন, আর্থ- সামাজিক পরিমণ্ডলে নারীর ক্ষমতায়ন যেকোনো দেশের উন্নতির জন্য জরুরি। আমরাও নারীর সমানাধিকার কে বিশ্বাস করি।গর্বের সঙ্গে বলতে পারি ,আমাদের সংস্থার সঙ্গে জড়িত বিক্রেতাদের প্রায় ৬০ শতাংশ মহিলা। আমাদের সংস্থার সঙ্গে জড়িত মহিলারা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন।

আমরা দেশ জুড়ে নারী উদ্যোগীদের পেশাদারী দক্ষতা সম্পর্কে বিশেষ শিক্ষা মূলক কর্মসূচি নিয়ে থাকি। ফলে আমাদের সংস্থায় নারী শক্তি এক বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.