গোপাল দেবনাথ/সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: কলকাতা, ১মার্চ ২০২০ অভিনেত্রী মৌবনী সরকার আজ নিজের পরিচয়ে পরিচিত। এখন আর কেউ জাদুসম্রাট পি সি সরকারের মেয়ে হিসেবে মৌবনীর পরিচয় দেন না।
সাধারণ মানুষের কাছে তিনি পরিচিত হয়েছেন এক অভিনেত্রী হিসেবে।কিন্তু মৌবনী ভালো ছবি আঁকেন, ওড়িশী নৃত্যে পারদর্শী। লিপ ইয়ারের দিন ২৯ ফেব্রুয়ারি মৌবনী তাঁর একটি ইংরেজি ভাষায় লেখা বই “রেনবোজ আনলিমিটেড” এর প্রচ্ছদ উন্মোচন করলেন সল্টলেকের একটি কফি শপে।
অনেকদিন পর তিনকন্যা ও স্ত্রীসহ অনুষ্ঠানে হাজির হন জাদু সম্রাট পি সি সরকার জুনিয়র।
মৌবনী বই লিখছেন। কেন লিখছেন? এই কৌতূহল থাকাটা সাধারণ মানুষদের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক নয়। সরকার পরিবারের উপস্থিতিতে খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী ওয়াসিম কাপুর বইটির প্রচ্ছদ উদ্বোধন করেন। এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিস্ট নৃত্যশিল্পী সঞ্চিতা ভট্টাচার্য, মানেকা সরকার, মুমতাজ সরকার, চিত্র পরিচালিকা রেশমী মিত্র, ফ্যাশন ডিজাইনার তেজস গান্ধী, অভিনেত্রী সুচেতনা দে, সাধন বাগচী, পামিতা সাধুখান সহ অন্যান্য বিশিস্ট ব্যক্তিবর্গ।
মৌবনী তাঁর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,আমি ভাগ্যবতী, জন্মেছি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এক পরিবারে। বাবা শিখিয়েছেন, জীবনে যেটাই করবে উৎকর্ষতার দিক থেকে তা যেন অনন্য হয়। সেটাই ম্যাজিক। আসলে বাবার কথাতেই ম্যাজিক আছে। আমি তাই আমার ছোট্ট জীবনের কিছু বড় বড় অনুভূতি আমি লিখেছি।
আমি যেহেতু বাঙালি, কলকাতায় বড় হয়েছি কিন্তু পড়াশুনো ইংরেজি মিডিয়ামে। তাই ভাষাগত আস্থা আমার বাংলার চেয়ে ইংরেজিতেই বেশি।তাই আমার অনুভব, অনুভূতির প্রকাশ ইংরেজিতে যতটা সাবলীল হবে বলে আমার বিশ্বাস ততটা বাংলায় নয়। তবে আগামীদিনে আমি বাংলায় নিশ্চয়ই লিখবো।
বইটির প্রকাশক রোদরং প্রকাশনা। সংস্থার প্রাণপুরুষ কবি শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায় জানালেন তাঁর একটি পত্রিকা আছে যার সম্পাদক তিনি নিজে। পেশা ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষকতা। কাগজটির নাম রোদ রং। প্রায় তিন বছর ধরে কলমে যাঁদের দক্ষতা আছে সেই সব নবীন প্রতিভাদের সুযোগ দেওয়া একজন সাহিত্যপ্রেমী পত্রিকা সম্পাদকের সামাজিক দা়য়বদ্ধতা বলে মনে করি।
আমার সঙ্গে মৌবনীর পরিচয় ফেসবুকে। ওর টুকরো টুকরো অনুভূতির ফসল লেখা আমার নজর কাড়ল। বুঝেছিলাম, ওর একটা জায়গা দরকার। আমার স্থির বিশ্বাস ছিল, প্রতিভাধরদের পরিবারে ওর জন্ম। পি সি সরকার জুনিয়ারের লেখা প্রচুর বই আছে।
সুতরাং মৌবনী তাঁর নাচ, অভিনয়ের পাশাপাশি মানুষের কাছে একজন অনুভব লেখিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে এটা আমার স্থির বিশ্বাস। মৌবনীর বিনোদন জগতে পা রাখা মডেল হিসেবে। নাট্য নির্দেশনা ও ম্যাজিক বিষয়ে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মৌবনী তাঁর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরবেন এই বইতে।
জীবনের এতগুলি পর্যায়কে মৌবনী রামধনুর সঙ্গে সামঞ্জস্য খুঁজে পান। এই বইয়ের প্রচ্ছদ এঁকেছেন সৌরীশ মিত্র। প্রকাশক জানালেন, তাঁর ব্যক্তিগত অনুরোধে বইটির মুখবন্ধ লিখেছেন পি সি সরকার জুনিয়র স্বয়ং।
বইটি অনলাইনে পেতে অর্ডার দিলে মিলবে বিশেষ ছাড়।
Be First to Comment