সংগীতা চৌধুরী: কলকাতা, ১০ জুন, ২০২০। পূর্ব নির্ধারিত ১০ই জুন শুরু করা গেল না টলিপাড়ার শুটিং। সমস্ত রকম প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও শেষ মুহূর্তে প্রযোজক ও চ্যানেলের কাছ থেকে লিখিত গাইড লাইন না পাওয়ায় আর্টিস্ট ফোরামের শিল্পীরা শুটিং করতে রাজি হয় নি। অবশেষে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের মধ্যস্হতায় সমস্ত জট কেটে আবার আশার আলো দেখতে শুরু করেছে টলিউডের স্টুডিও পাড়া। অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, “কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল কিন্তু এ মুহূর্তে সবাই মিলে তার শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করেছি। একটা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তাতে স্বাক্ষর করেছেন আর্টিষ্ট ফোরমের পক্ষে অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তী এবং অরিন্দম গাঙ্গুলী। ফেডারেশনের পক্ষে স্বরূপ বিশ্বাস এবং অপর্না ঘটক। চ্যানেলের পক্ষ থেকে জি – বাংলা, স্টার জলসা, কলার্স বাংলা , সান টিভি – এই চারটি চ্যানেলের প্রতিনিধিরা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। সবাই সবার পাশে থেকেই এগিয়েছি। আমাদের মধ্যে এখন আর কোন সমস্যা নেই। “আর্টিস্ট ফোরামের কার্যকরী সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী বলেছেন, “একটা বড় পরিবার হলে সেখানে ঝগড়াঝাটি থাকবেই সেগুলি আমরা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়েছি। আগামীকাল থেকেই আবার কাজ শুরু করবো। তবে এও ঠিক যে বর্তমানে করোনা সংক্রমণ যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে আমাদের খুবই সাবধানে এগোতে হবে”। অরিন্দম গাঙ্গুলী বলেন, “এরকম পরিস্থিতিতে আমাদের কাউকেই কখনো পড়তে হয় নি। সুস্থভাবে কাজ করতে গেলে অনেক মতবিরোধ আসতেই পারে। সেই মতবিরোধই এই মুহূর্তে আমরা মিটিয়ে আবার কাজ শুরু করতে চলেছি। কারো কোন অসুবিধা হলে আমরা এতগুলো মানুষ আছি, সবাই মিলে যাতে পরিস্থিতির সামাল দেওয়া যায় তার জন্যই আজকের এই ব্যবস্হা নেওয়া।”
তবে এই করোনা পরবর্তী শুটিং -এ অনেক বিধি নিষেধ আরোপিত হয়েছে। ফ্লোরে শুটিং চলাকালীন ৩৫ জনের বেশি ব্যক্তি উপস্থিত থাকতে পারবে না। শিল্পীদের মধ্যে অন্তত তিন ফুটের ব্যবধান রাখতে হবে। ১০ বছরের কম বয়সীরা এখনই শুটিংয়ে অংশ নিতে পারবে না।আবার ৬৫ বছরের বেশি বয়সী শিল্পীরা সুস্থতার নথিপত্র দিয়ে তবে কাজে যোগ দিতে পারবেন।এছাড়া ২৫ লক্ষ টাকার জীবনবিমার তহবিল ও গড়া হয়েছে করোনা আক্রান্তের ক্ষেত্রে।
মাক্স ও গ্লাভস ব্যবহার আবশ্যিক। তাছাড়া শুটিং- এ আসা প্রত্যেককে স্যানিটাইজিং ডোরের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। এই রকম আরও বহু নতুন নিয়মাবলী নিয়ে কাল কাজ শুরু হতে চলেছে। নতুন ধারায় শুটিংয়ের জন্য ফ্লোরগুলো জীবানুমুক্ত হয়ে সেজে উঠেছে। পরিবর্তন হবে চিত্রনাট্যের। এত টানাপোড়েনের পর করোনা পরবর্তীকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বড় পর্দা বা ছোট পর্দার কাজ দর্শকের মনে কতটা রেখাপাত করতে পারে এখন সেটাই দেখার।
Be First to Comment