Press "Enter" to skip to content

সাগরে মুখ্যমন্ত্রী, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবায় ভেঙে পড়া গাছ কাটতে সেনাবাহিনী নামল কলকাতায়…..

Spread the love

শুভদ্যুতি দত্ত, কলকাতা, ২৩মে, ২০২০।উম-পুনের প্রলয়ঙ্করী তান্ডব শেষ। ৭২ ঘন্টা কাটলেও ঐ পরিস্থিতির সামান্য হেরফের হয় নি সেই অর্থে। পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। নিকাশি ব্যবস্থার কথাও প্রায় সমান। এই শহরের নিচু এলাকা এখনও জলমগ্ন। অকেজো বললেও ভুল হবে না। চটে লাল এই শহরের বিস্তৃত অংশের মানুষ। আজ সাক্ষী কলকাতা। নাগরিক বিক্ষোভ চরমে। বিভিন্ন প্রান্তে এই ছবি ধরা পড়েছে। শহর কলকাতার এই হাল। নাগরিকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এন ডি আর এফ বাহিনী নেমেছে মোকাবিলায়। সার্দান আ্যভিন্যুতে গাছ ভেঙে পড়েছে। অবরুদ্ধ রাস্তা। কলকাতা কর্পোরেশনের প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম আজ সেখানে যান। তখন সেখানে গাছ কাটার কাজ চলছিল। ঐ কাজের তদারকি করেন তিনি। এনডিআরএফ বাহিনী মজুত রয়েছে। যদিও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। আরো ১০ টি বাহিনী পাঠানো হচ্ছে বলে জানায় কেন্দ্র। এদিকে, রাজ্য সরকারের তরফে পূর্ণ শক্তি সহ বিভিন্ন দপ্তর ইতিমধ্যেই ঐ কাজে নেমেছে। উম-পুনের তান্ডবে লন্ডভন্ড গোটা শহর। ১৪১ টি ওয়ার্ডের মধ্যে বেশিরভাগ এলাকায় গাছ পড়ে রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা ও সি ই এস সি – র তরফে জানানো হয়েছে করোনা-র পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হচ্ছে। তাছাড়া যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এই পরিষেবা সচল করতে লোকবল দরকার। যা তাদের সত্যিই নেই। নিতান্তই বাধ্য হয়ে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তর ট্যুইট করে তা জানিয়েছে। ফলে, গাছ কেটে ফেলা হোক। এরপর বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে। সুতরাং নামছে সেনা, যত শীঘ্র সম্ভব গাছ কেটে শহর মুক্ত করতে হবে। আরো বলা হয়েছে, পানীয় জলের সমস্যা কাটিয়ে তুলতে বেশ কিছু এলাকায় জলের পাউচ পৌঁছে দিতে হবে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর ঐ কাজ করবে। বিদ্যুৎ বিহীন এলাকায় জেনারেটর ব্যবস্থা করা হোক। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, রাজ্য সরকারের অনুরোধে ইতিমধ্যে ৫ কলাম সেনা নামল কলকাতায়। বেহালা, বালিগঞ্জ, টালিগঞ্জ, রাজারহাট- নিউটাউন ও ডায়মন্ডহারবারে। ঝড়ের দাপটে ভেঙে পড়া গাছ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কেটে অবরুদ্ধ শহরের বুকে ফিরে আসবে গতি।এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গতকাল হেলিকপ্টারে উম-পুনের তান্ডবে বিধ্বস্ত এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখার পর আজ তিনি যান দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায়। কাকদ্বীপে হয় প্রশাসনিক বৈঠক। এরপর তিনি চলে যান সাগরে। পানের বরোজ ঝড়ের দাপটে ধূলিসাৎ। নদীবাঁধেও ফাটল। জল ঢুকেছে বহু এলাকায়। সব মিলিয়ে সঙ্কট চরমে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বদ্ধপরিকর তিনি। রাজধানী দিল্লি থেকে আজ জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক ১০০০ কোটি টাকা অগ্রিম বাবদ অনুদান বরাদ্দ করেছে। প্রসঙ্গতঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে এই অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *