Press "Enter" to skip to content

২২তম দিল্লি বইমেলার সমাপ্তি….।

Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি : নিউ দিল্লি, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫।  দিল্লি বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত চারদিন ধরে চলা দিল্লি বইমেলার ২২তম আসর শেষ হল। শুরু হয়েছিল ২০ মার্চ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যাল এবং লোকসভার সদস্য বিপ্লব দেব। অতীতকে স্মরণ করিয়ে উদ্বোধনী ভাষণে তাঁদের কথায় উঠে আসে, বাঙালির শিল্পবোধ, সাংস্কৃতিক চেতনা, ইতিহাস ও কলকাতার কথা। দিল্লি বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি প্রদীপ গাঙ্গুলি জানান, “আমরা চাই অবাঙালিরা আমাদের সংস্কৃতি জানুক, আমরা তাদের সংস্কৃতি জানি। এবারের বইমেলা শুধু বাংলা বইয়ের বইমেলা নয়, এই মেলা বাঙালিদের সঙ্গে অবাঙালিদের একটি মেলবন্ধন।”
জানা গেল, ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বইমেলা হিসেবে নাম উঠে এসেছে দিল্লি বইমেলার। এখানে মোট ৬৫টি স্টলের মধ্যে ৫৬টি বইয়ের স্টল। পশ্চিমবঙ্গ থেকে যোগ দিয়েছেন ৪২জন প্রকাশক। প্রতিদিন গড়ে এক লক্ষ লোকের সমাগম হয়েছে। ৫ অশোকা রোডের এই মেলায় বিভিন্ন আলোচনাসভা ছাড়াও প্রবাসী বাঙালিদের সমবেত নৃত্য, সমবেত সংগীত, কবিতা কোলাজ এসব পাঠক দর্শকদের মনোরঞ্জন করেছে। দিল্লির লেখকদের সঙ্গে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের একাধিক লেখক। যেমন—তসলিমা নাসরিন, তপন রায়, যশোধরা রায়চৌধুরী, সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়, অগ্নি রায়, সমৃদ্ধ দত্ত, আদিত্য সেন, সুখেন বিশ্বাস সহ প্রথিতযশা সাহিত্যিকরা। তসলিমা জানান, “আমার দুঃখ একটাই কলকাতা বা ঢাকা বইমেলায় যেতে পারছি না; যাওয়ার অধিকার নেই। তবে দিল্লি বইমেলা শুধু বইমেলা নয়, প্রবাসী বাঙালিদের এটা একটা সাংস্কৃতিক মেলা। কলকাতার বাইরেও যে এত বড়ো সাংস্কৃতিক জগৎ আছে সেটা দিল্লি বইমেলায় না এলে বুঝতে পারতাম না।”গতবারের তুলনায় অনেক বেশি বইয়ের স্টল, বইমেলা প্রাঙ্গণ বড় হওয়ায় স্বভাবতই খুশি পাঠক ও সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষেরা। মেলা কর্তৃপক্ষও ঘোষণা করেছেন আগামী বছর থেকে দিল্লি বইমেলা এখানেই হবে।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *