শ্রীজিৎ চট্টরাজ ; হাওড়া, ২২ মার্চ, ২০২২। প্রাচীন ভারতে চারটি জিনিস ছিল সবচেয়ে মূল্যবান। হাতি, ঘোড়া, গরু ও অলংকার। নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে নারী পুরুষ অলংকারে সাজাতো যতনে নিজেকে।
ফলের বীজ বা চকমকি পাথর ছেড়ে এদেশের মানুষ কবে সোনা আবিষ্কার করল আর কবে সোনার অলংকার ব্যবহার শুরু করল, তার সঠিক ইতিহাস নেই। তবে অতীতের ভারতবর্ষে বর্তমানের পাকিস্থানের জালিপুরে, খ্রিস্টপূর্ব ৩ হাজার ৫ শত সালে প্রথম সিন্ধু উপত্যকায় মেলে স্বর্ণালঙ্কারের বিশাল ভান্ডার।
অলংকারে হীরের ব্যবহার অনেক পরে। তবে বিশ্বজুড়েই এখন সোনার অলংকারকে পিছনে ফেলে জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে চলেছে প্ল্যাটিনাম ও হীরের গয়না। ভারতে প্ল্যাটিনাম অতটা জনপ্রিয় না হলেও হীরে এখন সুপার ডুপার হিট।
ব্যবসায়ী দম্পতি পিন্টু আগরওয়াল ও রশ্মি আগরওয়াল গত সাত বছর ধরে হীরের গয়নার ব্যবসা করছেন কলকাতায়। উত্তর কলকাতার গিরিশ পার্ক, বড়বাজার ও ক্যামাক স্ট্রিটের তিনটি বিপণি পেয়েছে গ্রাহক আশীর্বাদ। গত ২১ মার্চ সোমবার হাওড়া স্টেশনের কাছেই রাঘব প্লাজায় গড়ে তুললেন সংস্থার নতুন দোকান পান্না ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড। উদ্বোধনী সপ্তাহে মিলছে মজুরিতে ৫০ শতাংশ ছাড়।
হীরের দামে ২৫ শতাংশ ছাড়। আছে মনকাড়া ছিমছাম ডিজাইন। ৮থেকে ৮০ সবার পছন্দের ডিজাইনের হাজারও সম্ভার। তিন হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকার হীরের গয়না এখন সব ধরনের গ্রাহকের জন্য মজুদ। প্রতিটি গয়না আই জি আই, এস জি এল, হলমার্ক ইত্যাদির গ্যারেন্টিযুক্ত। রয়েছে কিস্তির সুযোগ। ১২ মাসের কিস্তিতে ১মাস কিস্তি ভরবে দোকান কর্তৃপক্ষ।
অনেকে হীরের গয়না দু একদিন ব্যবহার করে ব্যাংকের ভল্টে রেখে দেন নষ্ট হয়ে যাওয়ার আতঙ্কে। পান্না ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের কর্ণধার পিন্টু আগরওয়াল জানালেন, সারা বছর নির্ভয়ে পরুন আমাদের দোকানের হীরের গয়না । জীবন ভর গয়নার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আমাদের। শপিং করতে পারেন অনলাইনেও। গয়না পাল্টে নেওয়ারও সুযোগ থাকছে ১৫দিনের মধ্যে।
১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কালেও আমেরিকার মানুষের কাছে হীরের গয়নার তেমন চাহিদা ছিল না। সেসময়ের বিখ্যাত বিজ্ঞাপন সংস্থার কৌশলী উদ্ভাবনী শক্তিতে আমেরিকায় এনগেজমেন্ট রিং হিসেবে হীরের আংটির চাহিদা বাড়ে ৮০শতাংশ।
ভারতেও সেই ফ্যাশনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে। বিয়েতে বা বিবাহবার্ষিকীতে সাধ্যমত দামে হীরের আংটির কদর বাড়ছে জেট গতিতে।
ইদানিংকালে জ্যোতিষীগণ হীরের অলংকার পড়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। হাওড়ায় নতুন দোকান খুলে পান্না ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এর কর্ণধার জানালেন, হাওড়ার মানুষকে এখন হীরের গয়না কিনতে কলকাতা যাওয়ার দরকার নেই । আমরা হাওড়াতেই হাজির করে দিয়েছি হীরের খনি।
Be First to Comment