Press "Enter" to skip to content

সল্টলেকে শারদীয়ার ভূরিভোজে ভোজনরসিকদের মন কাড়লো গোল্ডেন টিউলিপ হোটেল…..।

Spread the love

সুজিৎ চট্টরাজ / মোল্লা জসিমউদ্দিন : কলকাতা, ৬ অক্টোবর ২০২২। এবার শারদীয়ায় ভূরিভোজে এই শহরের ভোজনরসিকদের মন কাড়লো সল্টলেকের গোল্ডেন টিউলিপ হোটেল। শুধু খাওয়াদাওয়ার জন্য এলাহি আয়োজন করা নয়, অতিথের প্রতি আতিথিয়েতায় মুগ্ধ হয়েছেন অনেকেই। সিটি সেন্টার মেট্রো স্টেশন থেকে মিনিক দুই – তিনের হাঁটাপথ। রাজ্য তন্তুজভবনের একদম সামনে। পল্লীবাংলার বাঁশবাগানের মধ্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আধুনিকতার সমস্ত সুযোগসুবিধা যুক্ত এই হোটেলের খাওয়া দাওয়া রান্নাঘরে হেঁসেল থেকে সরাসরি অতিথিদের টেবিলে পরিবেশন করা এক অন্যমাত্রা এনে দিয়েছে।
পুজো এলেই বাঙালির ভোজন ভজনা যেন দশগুণ বেড়ে যায়। সেকথা খেয়াল রেখেই বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁ ভুরিভোজের আয়োজন করে থাকে। পিছিয়ে নেই সল্টলেক সিটি সেন্টার সংলগ্ন গোল্ডেন টিউলিপ হোটেল কর্তৃপক্ষ। গোল্ডেন টিউলিপ হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার সুমন্ত মাইতি জানালেন, – “দুবছর করোনায় গৃহবন্দী থাকার পর এবার পুজোয় মানুষ এখন মুক্তির স্বাদ পেয়েছে। কথিত আছে মনের সঙ্গে দেহের যেমন সম্পর্ক আছে, তেমন মনের সঙ্গে খাদ্যেরও এক বিশেষ সম্পর্ক আছে। চোব্য চোষ্য লেহ্য পেয় এই চার রসের আরকে মন ভিজলেই তো চরম প্রাপ্তি”। শারদীয় উৎসবে সামিল হয়ে গোল্ডেন টিউলিপ  গত ২ অক্টোবর থেকে ৪ অক্টোবর আয়োজন করেছিল এক ব্যাপক ভুরিভোজের আসর। হোটেলের তিন তিনটি রেস্তোরাঁয় ছিল বিশেষ আয়োজন। তিনতলায় অ্যান্টিপাস্তিতে ছিল সাবেকি বাঙালি খাদ্যের সঙ্গে কিছু ভারতীয় খাবারের যুগলবন্দী। মাল্টি ক্যুইজিন রেস্তোরাঁ নোয়ার এও ছিল এলাহি আয়োজন।

জালাপেনো চিজ ফ্রিটার্স, ক্রিসপি চিজি চিকেন ফিলে, পিজা পাস্তা, বেকডডিশ তো ছিল সঙ্গে তন্দুরি কাবাবের মেলা আয়োজন ছিল মন কাড়ার মতো । এই হোটেলের ৮ তলায় খোলা আকাশের নিচে স্কাই লাউঞ্জে  নিজের পছন্দের খাবার, মকটেল ও হুক্কা বিভিন্ন ফ্লেবারের আয়োজন ছিল। এই বিলাসবহুল হোটেলে জন প্রতি মাত্র  ৯৯৯/- টাকায় ব্যুফেতে ছিল দুপুর ও রাতের খাবারের দীর্ঘ তালিকা। বেলা ১২ টা থেকে সাড়ে ৩ টে ও রাতে ৭ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত  আপ্যায়নে হাজির ছিল হোটেল কর্তৃপক্ষ । বাঙালি খানায় সাবেকি আলু পোস্ত থেকে পোলাও রাজনন্দিনী, কড়াইশুঁড়ির কচুরি থেকে নারকেল ছোলার ডাল। এবারের পুজোর চারদিনে ভিন্ন ভিন্ন মেনু ছিল। কমলা লেবুর সরবত, তরমুজের শরবত । ছিল আম পান্না। কাঁচা আমের চপ, মাছের কাটলেট, হাঁসের ডিমের ডেভিল, চিংড়ি পুরের কাঁকরোল, মৌরলা মাছের পেঁয়াজি।বিভিন্ন শাক ভাজা, আলু মুরগির কষা, সর্ষে পাবদা, দই মুরগি, শিলে বাটা চিংড়ি ভাপা, চিকেন ডাকবাংলো, চিতল মুইঠঠা তো। ছিল ইলিশ ও চিংড়ি মাছের বিভিন্ন পদ। গোটা চিকেন রোস্ট ও মার্টন রাঙ্।  মিক্সড ফ্রুট চাটনি, ডিসকো পাঁপড়। যা এবারে পুজোয় খেতে আসা অতিথিদের মেজাজকে বানিয়ে তুলেছিল মোঘল রাজাদের মত। দেশি বিদেশি ফিউশন খাবারও ছিল আজকের প্রজন্মের চাহিদা মেটাতে।

শুধু শারদীয় পুজোয় নয়, বছরের প্রতিটি দিন এই হোটেল কর্তৃপক্ষ থাকে অতিথিদের আতিথিয়েতা জানাতে। শেফ থেকে শুরু করে হোটেল স্টাফ এবং বিভিন্ন বিভাগের ম্যানেজারদের মনভোলানো ব্যবহার খাদ্যরসিক যে কোন মানুষ হোটেলে প্রবেশ করলেই তা টের পাবেন। শহর কলকাতায় নিরিবিলিতে থাকার জন্য আটতলা এই হোটেল কে বেছে নিতে পারেন।

More from FoodMore posts in Food »
More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.