শু ভ জ ন্ম দি ন – স ঞ্জী ব চ ট্টো পা ধ্যা য়
বাবলু ভট্টাচার্য : তাঁর লেখা পড়ে রসেবশে-আহ্লাদে দমফাটা হেসে চোখে জল আসেনি এরকম পাঠক সংখ্যা বিরলই বলা চলে। অন্যদিকে দীর্ঘকাল তিনি তাঁর আত্মচেতনার উপলব্ধি মিশিয়ে আধ্যাত্মিক দর্শনে সমৃদ্ধ করে এসেছেন পাঠককূলকে।

সাহিত্যের নানা ক্ষেত্রে তাঁর অবাধ বিচরণ৷ রসবোধ ও জীবন দর্শনই তাঁকে আর পাঁচজন লেখকের থেকে আলাদা করেছে। মাপা হাসি, চাপা কান্না-ই এখন তাঁর জীবন দর্শন৷
সঞ্জীববাবুর লেখার জগত বিস্তৃত। হাস্য থেকে ভক্তি নানা রসেই সিক্ত তাঁর লেখনী। সমাজজীবনের নানা দিক নিয়ে স্যাটায়ার তাঁকে পাঠকমহলে জনপ্রিয় করে তোলে। ‘লোটাকম্বল’ বা ‘শ্বেতপাথরের টেবিল’ কিংবা ‘রসেবশে’ তাঁর অন্যতম পরিচিত লেখা। আবার ‘পরমপদকমলে’-র মতো লেখাও সাদরে চর্চিত হয়েছে। সাহিত্যকৃতীর জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার ও সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার ৷
তিনি মেদিনীপুর জেলা স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং হুগলি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাগ্রহণ করেন।
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন, বিষয় ছিল রসায়ন। সরকারি চাকরি করেছেন বেশ কয়েক দিন। রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন।
তাঁর প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় এক সিনেমা পত্রিকায়। সরকারি চাকরিতে থাকাকালীন বেতার ও দূরদর্শনের নানা শিল্পসংক্রান্ত লেখা ও শিল্পপ্রকাশন সঞ্জীবকে এক ধরনের লেখার দিকে টেনে আনে। রঙ্গ ও ব্যঙ্গের লেখাই শুধু নয় নানা ধরনের লেখায় পারদর্শী সঞ্জীব। সরকারি চাকরি ছেড়ে তিনি আনন্দবাজার পত্রিকা সংস্থার দেশ পত্রিকায় যোগ দেন।
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় ১৯৮১ সালে আনন্দ পুরস্কার পান। ২০১৮ সালে “শ্রীকৃষ্ণের শেষ কটা দিন” ছোটগল্পের কারণে, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার বিজয়ী হন।
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় ১৯৩৬ সালের আজকের দিনে (২৪ অক্টোবর) চব্বিশ পরগনার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
Be First to Comment