Press "Enter" to skip to content

সংস্কারের ভূতই হাজার-হাজার বছর ধরে চেপে রয়েছে ইউরোপের কয়েকটি অঞ্চলে যা “হ্যালোউইন” উৎসব নামে পরিচিত….।

Spread the love

আজ ৩১ অক্টোবর, বিশ্বজুড়ে ভূতুড়ে দিন।

ভাস্কর ভট্টাচার্য : কলকাতা, ৩১, উক্ত, ২০২০।হঠাৎ রাস্তায় হাজার-হাজার কঙ্কাল চলে বেড়াতে দেখলে কার না ভয় লাগবে। হ্যাঁ নকল ভূতের পোশাকেই হাজার-হাজার মানুষ পথে নামেন এই দিনটিতে। যাকে বলে ভূত তাড়ানো বা ভূত-ভূত খেলা। আর এই সংস্কারের ভূতই হাজার-হাজার বছর ধরে চেপে রয়েছে ইউরোপের কয়েকটি অঞ্চলে যা হ্যালোউইন উৎসব নামে পরিচিত। শুধু সাধারণ মানুষই নয়, অনেক শিক্ষিত মানুষও এই হ্যালোউইন নামক সংস্কারের উৎসবে শামিল হয়ে থাকেন। আর সেই দিনটি অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর দিনটি হ্যালোউইন দিবস রূপে চিহ্নিত। যাকে বলে ভুতুড়ে উৎসব। ইউরোপ-আমেরিকা তো বটেই বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই দিনটি বিরাট উৎসব রূপে পালিত হয়ে থাকে। ওই সব দেশের একটা বড় অংশ বাড়ি ঘর রাস্তাঘাট প্রভৃতি অঞ্চলে আলো নিভিয়ে প্রায়ান্ধকার পরিবেশে লাউ, কুমড়ো প্রভৃতি ফসল কেটে তার মধ্যে মোমবাতি বা কৃত্রিম আলো জ্বেলে ঘুরে বেড়ান। কালো গাউন পরে পথে নেমে পড়েন ভূতের মতো সেজে। ফেসবুকময় ঘুরে বেড়াচ্ছে সেইসব নানা ভুতুডে ছবি। কলকাতায় বসে আমরা দেখতে পাচ্ছি ইউরোপ-আমেরিকার ভূত।
এর উৎপত্তি নাকি ২২০০ বছর আগের। যেখানে মানুষরা কুমড়ো বা লাউয়ের খোলাকে মাথার খুলি করে ভুতুড়ে পোশাক ও নানা ধরনের ভয়ের মুখোশ পরে নকল কঙ্কাল সেজে পথে ঘাটে ভিড় করে উৎসব পালন করত। তারই পথ ধরে এখনকার ভূত সাজা। অনেকেই হইহুল্লোড় করে দিনটা কাটান। বাচ্চারা ভূতের পোশাক পরে বাড়ি-বাড়ি ঘুরে লজেন্স-টফি আদায় করে ফেরে। আজকের দিনটি তাদের কাছে এক মজার ব্যাপার।
একদিকে ভূত তাড়ানো খেলা অন্যদিকে কুসংস্কার উৎসবে শামিল হওয়া। এই উৎসব `হ্যালো ইভ’ নামেও পরিচিত। কেউ কেউ বলেন এর শুরু নাকি প্রাচীন একটি উৎসব ‘সাহ উইন’ থেকে। কেল্টিক অঞ্চল বা বর্তমান আয়ার্ল্যান্ড, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সে। সে সময় তাঁরা অক্টোবরের শেষ দিনটিকে বিদায় জানিয়ে নভেম্বরের প্রথম দিনটিকে নববর্ষ রূপে উদ্‌যাপন করতেন। নববর্ষের আগের দিনটিকে সাহ উইন বা ‘গ্রীষ্মের শেষ’ দিন রূপে পালন করতেন। তাঁদের কাছে এই দিনটি গ্রীষ্মের ফসল তোলার শেষ দিন হিসেবেও পালিত হত।
১ নভেম্বর দিনটি শুরু হত অন্ধাকারাচ্ছান্ন শীতের শুরুর দিন হিসেবে। সেই অর্থে প্রাচীন কেল্টিক মানুষরা এই ৩১ অক্টোবর দিনটিকে ভুতুড়ে দিন হিসেবে পালন করতেন। অনেকটা আমাদের দোলের আগের দিন চাঁচড় উৎসবের মতো। গোটা কেল্টিক অঞ্চল জুড়েই এই উৎসব পালিত হত। তাঁরা ভাবতেন, পথে নেমে ভূতের মতো সেজে চিৎকার-হইহুল্লোড় করলে ভূত বা অশীরী আত্মা আর কাছে আসতে পারবে না। যাকে বলে ভূত তাড়ানো। এটা একেবারেই সংস্কার। এই কেল্টিক উৎসবই সারা ইউরোপে এক সময় ছড়িয়ে পড়ে। দিনে-কালে তা হ্যালোউইন নামেই বেশি পরিচিত হয়েছে।
আমাদের দেশেও ভূত তাড়ানোর দিন আছে।কালীপুজোর রাত। ভূতচতুর্দ্দশীতে অনেকের গৃহেই আলো জ্বেলে অলক্ষ্মী বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে ভূত তাড়ানোর আলো জ্বালা হয়।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.