মোল্লা জসিমউদ্দিন: ১৩ই জানুয়ারি ২০২০ গত শুক্রবার কলকাতার ব্যাংকশাল আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট মৌমিতা রায়ের এজলাসে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের গলার স্বর নথিভুক্তিকরণ হল। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে বড়বাজার আর্থিক দুর্নীতির মামলায় মুকুল রায়ের গলার স্বর নথিভুক্তিকরণের নির্দেশিকাজারী হয়েছিল। সেজন্য ১০ জানুয়ারি সংশ্লিষ্ট আদালতে অর্থাৎ ব্যাংকশাল আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এই গলার স্বর নথিভুক্তিকরণ ( ফরেন্সিক) টি হয়। তবে এই গলার স্বর রেকর্ড টি মুখবন্ধ খামে থাকবে। তা মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসারও দেখতে পাবেন না হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া। যদিও এই মামলার পরবর্তী শুনানি টি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। প্রধান বিচারপতিই ঠিক করবেন পরবর্তী শুনানি কোন বেঞ্চে হবে তা নিয়ে । কেননা মুকুল রায়ের আইনজীবী শুভাশিস দাশগুপ্ত এজলাসে প্রশ্ন তুলেছিলেন – “বড়বাজার আর্থিক দুর্নীতি মামলায় মুকুল রায় একজন সাক্ষী মাত্র, অভিযুক্ত নন। তাই একজন সাক্ষী কিভাবে নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যদান করবেন? ” উল্লেখ্য, ব্যাংকশাল আদালতে আডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুকুল রায়ের গলার স্বর নথিভুক্তিকরণ এর নির্দেশ দিয়েছিল। এই নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দাখিল করেন। এই মামলার শুনানিতে নিম্ন আদালতের নির্দেশ কে বহাল রাখলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। তবে সেইসাথে মামলাটি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ৩১ জুলাই কলকাতা পুলিশ বড়বাজার এলাকায় কল্যাণ রায় বর্মন নামে এক সরকারি কর্মীর কাছে নগদ ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে থাকে। ধৃত কে জেরা করে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের নাম পায় বলে কলকাতা পুলিশের দাবি। এই টাকা উদ্ধারের আগে নাকি মুকুল রায়ের সাথে কথপোকথন হয় ধৃতের। ২০১৮ সালে ডিসেম্বর মাসে ১৬০ ধারায় মুকুল রায় কে সাক্ষী হিসাবে তলব করেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসার। এরপর বেশ কয়েকটি নোটিশ অগ্রাহ্য করায় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারী হয় ব্যাংকশাল আদালতে। এমনকি ব্যাংকশাল আদালতের সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য একমাস সময়সীমাও বেঁধে দেন। মুকুলের আইনজীবী দিল্লীর ভোটার কার্ড কে সামনে রেখে ওয়ারেন্ট এর বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা দাখিল করেন দিল্লির হাইকোর্টে।দিল্লি হাইকোর্ট ব্যাংকশাল আদালতের ওয়ারেন্ট খারিজ করে দশদিনের মধ্যে মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার কে দিল্লীর ঠিকানায় জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দেয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশের এক প্রতিনিধিদল দিল্লিতে মুকুল রায়ের বাসভবনে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। এরপর গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকশাল আদালতে ‘সাক্ষী’ মুকুল রায়ের গলার স্বর নথিভুক্তিকরণ এর আদেশনামা জারী করে থাকে। এই আদেশনামার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন বঙ্গ বিজেপির হেভিওয়েট নেতা মুকুল রায়। এই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নিম্ন আদালতের রায় কে বহাল রেখে ১০ জানুয়ারী মুকুল রায়ের গলার স্বর ফরেনসিক টিমের উপস্থিতিতে রেকর্ড সংগ্রহ করার নির্দেশ দেন। তবে এই গলার স্বর রেকর্ডটি মুখবন্ধ খামে আদালতের হেফাজতে থাকবে। তা দেখার এক্তিয়ার তদন্তকারী পুলিশ অফিসারেরও থাকবেনা বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই গলার স্বর অন্য কোন মামলায় ব্যবহার করা যাবেনা সে নির্দেশনা আছে এই আদেশনামায়।আইনী জটিলতার কারণে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়েদেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। এরেই মধ্যে মুকুল রায়ের গলার স্বর নথিভুক্তিকরণ হল ব্যাংকশাল আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট মৌমিতা রায়ের এজলাসে।
মুকুলের গলার স্বর নথিভুক্তিকরণ হল ব্যাংকশাল আদালতে…
More from GeneralMore posts in General »
- মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস হেরে গেল এফসি গোয়ার কাছে…।
- জীবনে যেখানে প্রতিটা মুহূর্ত দামী : মনিপাল হসপিটাল ব্রডওয়ের ডাক্তার মধ্য আকাশে যাত্রীর প্রাণ বাঁচালেন….।
- Over 300 Industry Leaders and Women-Owned Businesses Gather to Drive Gender Inclusion in India’s Supply Chains….
- Waterstone College Cricket Team from South Africa Played a 40-Over Cricket Match with Yuvraj Singh Centres of Excellence (YSCE) at Merlin Rise….
- Eastern India’s first Museum Hotel The House of Sheherwali: A Museum where you can stay….
- হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়াতে দিব্যজন্মশতাব্দী সমারোহ আয়োজিত হলো….।
Be First to Comment