অশোক দে : কলকাতা, ৫ এপ্রিল, ২০২৩। চন্ডিগড় টেগোর থিয়েটারেও কলকাতার ছোঁয়া। প্রসাদ খাপারডে এই কণ্ঠশিল্পী কলকাতার পদ্মশ্রী উস্তাদ রশিদ খানের ছাত্র। এসেছিলেন ৫২তম অল ইন্ডিয়া ভাস্কর রাও নৃত্য ও সঙ্গীত সম্মেলনে। ‘প্রাচীন কলা কেন্দ্র’-র উদ্যোগে ১৭ থেকে ১৯ মার্চ হয়ে যাওয়া এই অনুষ্ঠানের প্রথম দিনেই ছিলেন খাপারডে। রামপুর সাসওয়ান ঘরের শিল্পী রাগ শ্যাম কল্যাণে পরিবেশন করেন (বিলম্বিত একতাল ও মধ্যলয় তিনতাল) : জিও মেরে লাল। পরে ছোট খেয়াল সোহিনী-তে শোনালেন ‘কঁহে উজারি মোরি নিদ কানাইহা’ বন্দিশে রাধার কোমল অভিযোগ প্রকাশ পায়। সরল উপস্থাপনা। কন্ঠও তেমন নয়! তবলায় ছিলেন মিথিলেশ ঝা ও হারমোনিয়ামে ধরম নাথ মিশ্র। ইতিমধ্যে উস্তাদ শাহীদ পারভেজ তো কলকাতার শ্রোতাদের কাছে ঘরের শিল্পী হয়ে গেছেন। শাহিদজীর নির্বাচনে ছিল রাগ ঝিনঝোটি বা ঝিঁঝিঁট (বিলম্বিত তিন তাল, মধ্যলয় ও দ্রুত)। আর আদ্ধা তালে তিলক কামোদ। তবলায় ছিলেন তরুণ আজম আলি খান। একটা কথা, উস্তাদকে সে মেজাজে পাওয়া গেল না; অন্তত এই শীতে তাঁর একাধিক কলকাতার উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত দেখার নিরিখে! আর তবলা বাদকও তেমন মানের নয়! উস্তাদ কেন রে তাকে নির্বাচন করলেন বোঝা গেল না!
এরপর দক্ষিণী নৃত্যের আসর। একক ভরত নাট্যমে দর্শকদের সম্মোহিত করে রাখলেন নৃত্য নিপুণতায় রুক্মিণী বিজয় কুমার। পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে শুভ সূচনা : আদি শঙ্করাচার্য-র অর্ধনারীশ্বর স্তোত্রম্। একে একে প্রদর্শিত হল বর্ণম, স্বরচিত কবিতা ও তান্ডব আবর্তন। রুক্মিণী ভরত নাট্যমের আধারে রেখেছেন তাঁর স্বকীয় দর্শন। এবং নৃত্যশৈলীতে ছিল পশ্চিমী ব্যালে ও ভারতীয় যোগ। রুক্মিণী প্রশিক্ষিত হয়েছেন গুরু পদ্মিণী রাও, নর্মদা রাও, সুন্দরী সানথানাম-এর সংস্পর্শে এসে।
Be First to Comment