শু ভ জ ন্ম দি ন ফেরদৌস হাসান
বাবলু ভট্টাচার্য : তারকাদের তারকা তিনি। একাধারে তিনি একজন লেখক, নাট্যকার, পরিচালক ও নির্মাতা। ‘শ্যাওলা’, ‘কাগজের বউ’, ‘ব্যথা’, ‘প্রজাপতি মন’, ‘অমানুষ’, ‘মেঘ বালকের গল্প’ সহ অসংখ্য জনপ্রিয় জননন্দিত নাটক ও টেলিছবির স্রষ্টা তিনি।
তিনি ফেরদৌস হাসান।
ফেরদৌস হাসান ও আখতার ফেরদৌসী রানা নাম দু’টি ভিন্ন হলেও মানুষ কিন্তু একজনই।
৪০ বছরের বেশি সময় ধরে লেখালেখি করছেন ফেরদৌস হাসান। পাশাপাশি লিখে চলেছেন টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রের কাহিনি।
১৯৮১ সালের ১১ জুলাই ‘ঝিনুক নীরবে সহো’ নাটক দিয়ে টেলিভিশনে যাত্রা শুরু করেন ফেরদৌস হাসান। নাটক, টেলিফিল্ম, ধারাবাহিক মিলিয়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি রচনা ও পরিচালনা করেছেন টেলিভিশনের জন্য।
অসংখ্য ব্যবসা সফল সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনার কৃতিত্বও তার ঝুলিতে। তার লেখা গানও আছে বেশ কিছু। তিনি একজন দক্ষ সুরকারও বটে।
চরিত্রের গভীরে ঢুকে তার বিশ্লেষণ আর সমাজের নানা সঙ্গতি-অসঙ্গতি উঠে এসেছে ছায়াছবির মতো তার লেখায়। তার লেখা পড়তে পড়তে দর্শক পাঠক আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। দম নেন। অপেক্ষা করেন শেষ না হয়ে যায়।
ফেরদৌস হাসান প্রচার বিমুখ এবং নীরবে কাজ করতেই পছন্দ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক শেষে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
১৯৭১ সালে বাড়ি পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন ফেরদৌস হাসান।
একক নাটক: ‘তোমার হৃদয় পাগল’, ‘মিস রবিবার’, ‘অমানুষ’, ‘এক জোনাকি আঁধার’, ‘দুষ্ট পাখি চন্দনা’, ‘বিয়ের বয়স বারো’, ‘আলোর পাখি’, ‘অপুর পাঠশালা’, ‘প্রিয় এমন রাত’, ‘ইডিয়ট’, ‘স্বপ্নের চিতা’, ‘কাঁচা পাকা’, ‘মধুমিতা’, চোর না ডাকাত’, ‘পা মা গা রে সা’, ‘চম্পাকলি মদন কুমার’।
ধারাবাহিক : ‘মায়া’, ‘বন্ধু আমার’, ‘মহানগর’, ‘খুনসুটি’, ‘সে আমার একলা পাখি’।
ফেরদৌস হাসান ১৯৬০ সালের আজকের দিনে (৩ অক্টো) রংপুরে জন্মগ্রহণ করেন।
Be First to Comment