Press "Enter" to skip to content

পুরীতে জগন্নাথদেবের সোনা বেশ প্রত্যক্ষ করার জন্য জনজোয়ার….।।

Spread the love

গোপাল দেবনাথ : পুরী, ৯জুলাই, ২০২৫। পুরীতে এই বছর প্রায় ১৫ লক্ষ ভক্তগণ রথযাত্রা প্রত্যক্ষ  করলেন।অবশেষে প্রভু জগন্নাথদেবের রথযাত্রা পর্ব শেষ হল। ভক্তরা প্রভুর আশীর্বাদ নিয়ে যে যার মতো বাসস্থানে ফিরে গেলেন। প্রভু চার মাসের জন্য বিশ্রামে গেলেন। পুরীতে রথযাত্রা উল্টোরথ বা পুনর্যাত্রা নিয়ে নতুন করে লেখার কিছু নেই। সারা বিশ্বের যেখানেই রথযাত্রা হোক না কেন পুরীর জগন্নাথদেবের রথযাত্রার কাছে অন্য জায়গার রথযাত্রার তুলনা চলে না। তিন বছর ধরে উল্টোরথ বহুরাযাত্রায় হাজির থেকে প্রত্যক্ষ করেছি নানা ধর্মের মানুষের মনে প্রভু জগন্নাথদেবের প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা বিশ্বাস অপরিসীম। পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে ভক্তদের মধ্যে রথ টানা এবং রথের দড়ি একবার ছুঁয়ে দেখার জন্য মানুষের মধ্যে যে উন্মাদনা যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। বিশেষ নানা প্রান্তের মানুষ এই সময় পুরীতে হাজির হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সাধারণ মানুষ প্রভু জগন্নাথদেব দাদা বলভদ্রদেব এবং বোন শুভদ্রাদেবীর রথ টানার জন্য বছরভর অপেক্ষা করে থাকেন। শনিবার রথযাত্রা পর্ব শেষ হওয়ার পর ও অনুষ্ঠান পর্ব শেষ হয়নি। রবিবার দুপুর থেকেই তিন দেবদেবীকে মন্দিরের পুরোহিতগণ দেবদেবীদের সোনার অলংকার দিয়ে সাজিয়ে তোলেন। জগন্নাথদেবের সোনা বেশ দেখার জন্য কয়েক লক্ষ মানুষ যে ভাবে গ্র্যান্ড রোডে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রভুকে একবার দর্শন করার জন্য। এই প্রতিবেদক জনসমুদ্রের মধ্য দিয়ে গিয়ে সোনা বেশ দর্শন করলেন। এত মানুষের ভিড়ের মধ্যেও প্রভুজগন্নাথদেব দাদা বলভদ্রদেব ও বোন শুভদ্রাদেবী কে যে ভাবে স্বর্ণালংকার দিয়ে সাজানো হয়েছে যা এক কথায় অনবদ্য। ভক্তগণ এই স্বর্গীয় দৃশ্য দেখে আপ্লুত। সন্ধ্যেবেলায় বৃষ্টির মধ্যে যে ভাবে ভক্তরা ধৈর্য্য ধরে রাস্তার উপর ছাতা ও খালি মাথায় ভিজে গিয়ে রথের সামনে থেকে প্রভুর দর্শন করলেন এবং ভগবানের প্রতি যে আস্থা প্রদর্শন করলেন এই দৃশ্য মনে দাগ কেটেছে। দেখতে পাচ্ছি প্রতি বছর ভক্তদের ভিড়ের পরিমান বেড়েই চলেছে। রথের দিন কয়েকশো মানুষ ভিড়ের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়লেও বহুরা যাত্রা এবং জগন্নাথদেবের সোনা বেশের দিন পুলিশ প্রশাসন কড়া হাতে ভক্তদের এবং সার্বিকভাবে সব ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলা করলেন।

More from CultureMore posts in Culture »
More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.