Press "Enter" to skip to content

পুজোর গানে এবার হাজির সপরিবারে দুর্গা বাংলার বহুরূপী শিল্পীদের হাত ধরে……..।

Spread the love

নিউজ স্টারডম : ১২, অক্টোবর, ২০২০। বেশ কিছু বছর আগেও শহরে ওঁরা আসত।সকালবেলায় পাড়ায় ভগবানের নানা রূপে,কখনো বা চড়কের মেলায়,চৈত্র শেষে জেলেপাড়ার কিম্বা কালীঘাটের সঙ হয়ে।নানা রূপ ধারণ করে ওঁরা দর্শকদের নজর কাড়ত। ওঁরা বহুরূপী। বীরভূম এর কুলে,শীতল গ্রাম এই বহুরূপী শিল্পীদের বসবাস।বাংলার এই প্রাচীন লোকশিল্প আজ প্রায় হারাতে বসেছে।এমনিতেই পারিশ্রমিক কম,অনুষ্ঠানের সংখ্যাও কম তার উপর এই লকডাউনের থাবা। সব মিলিয়ে এই শিল্পীরা ঘরে বসে বেশ কিছু মাস। কিন্তু পুজো তো এঁদের জীবনেও আসছে।

এই শিল্পীদের সম্মান জানাতে এক আগমনী গানে তাঁদের ক্যামেরাবন্দি করা হলো বীরভূম এর মাটিতে।অজয়ের পাড়ে কাশের বন হোক বা নদীবক্ষে নৌকাবিহারে,গ্রামের মেঠো পথে হোক বা মন্দিরের আঙ্গিনায় তাঁদের দেখা যাবে দুর্গার সপরিবারে।”উমা মা তোর চরণ তলে”,এই আগমনী গানের সুর এবং কথা লিখেছেন মোনালিসা দে।গান গেয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং মোনালিসা দে। শুধু মাত্র এই বহুরূপী শিল্পীদের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্যই এই আগমনী গানের উদ্যোগ।শিল্পীদের আর্থিক সহায়তা করার পাশাপাশি তাঁদের আবার কাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ভাবনা থেকেই তৈরি হল এই গান।গানটা কলকাতায় রেকর্ড করার পর সৌরভ ব্যানার্জি এর নির্দেশনায় মিউজিক ভিডিও শুট হল বীরভূম এ বহুরূপী শিল্পীদের গ্রামে। দ্যা ড্রিমার্স মিউজিক পি.আর এজেন্সি এর উদ্যোগে,সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত চন্দের ভাবনায় নির্মিত হল এক দৃষ্টিনন্দন মিউজিক ভিডিও।গানটা মুক্তি পাবে আগামী ১৯ অক্টোবর “আমারা মিউজিক” থেকে। অন্যদিকে দ্যা ড্রিমার্স এর ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে বহুরূপী শিল্পীদের গাওয়া “দশভুজা জননী এল” এই আগমনী গানটি ২২ অক্টোবর।এই উদ্যোগ নিয়ে সুদীপ্ত চন্দ বললেন,” বীরভূমের বহুরূপী শিল্পীদের পুজোর গানে নিয়ে আসার কথা আগেও ভেবেছিলাম।এই লকডাউনে শহরের শিল্পীদের সাথে,সাথে বিভিন্ন লোকশিল্পীরা রোজগার হারিয়েছেন।ওঁদের সরকারি অনুদান মাসিক এক হাজার টাকা।

অন্য সময় কিছু সরকারি,বেসরকারি অনুষ্ঠান হলেও এই লকডাউনের সময় তাঁদের সেটুকু রোজগারও বন্ধ। যাঁরা দেব-দেবী সেজে নানা রূপ নিয়ে বাংলার এই অন্যতম প্রাচীন লোকশিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছেন এই গান সেই সব নাম না জানা শিল্পীদের দ্যা ড্রিমার্স এর শ্রদ্ধার্ঘ্য। আমি কৃতজ্ঞ দুই সংগীতশিল্পী চন্দ্রিমা এবং মোনালিসা এর কাছে যাঁদের সহযোগীতা ছাড়া এই কাজটা করা সম্ভব হতোনা।এই উদ্যোগে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আরো অনেক শুভানুধ্যায়ী।”
গানটার সঙ্গীত আয়োজন করেছেন অরুণাভ চট্টোপাধ্যায়।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.