নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ৬ অক্টোবর, ২০২৪। ১ অক্টোবর, ২০২৪। ঘোষণা। আর ৮ অক্টোবর। মহাপঞ্চমী, যেদিন উৎসবে মেতে উঠবে গোটা বাংলা, আর সেইদিনই ভারতীয় সিনেমার কিংবদন্তি মিঠুন চক্রবর্তীকে দেওয়া হবে দেশের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র সম্মান, দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার। ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে তাঁকে এই সম্মাননা প্রদান করা হবে। মিঠুন চক্রবর্তী এখন শুধুমাত্র বাংলার নয়, গোটা দেশের এক উজ্জ্বল সাংস্কৃতিক আইকন। কিন্তু সেই গোলাপেও কাঁটা। এখন তিনি দেশের শাসকদলের অংশ, তাই তাঁকে এই সম্মান পাওয়ার পরও বিঁধতে ছাড়েনি রাজ্যের শাসকদল। যেন এই সম্মানের পিছনেও লুকিয়ে রাজনীতি আর স্বজন পোষণ। কিন্তু এই কাদা ছোঁড়াছুড়ি কি বাংলার অসস্মান নয়? কারণ মিঠুন শুধু অভিনেতা নন। বলিউডের সেলুলয়েডে বাংলার মুখ।
জোড়াবাগানের একটা ছোট্ট গলি থেকে শুরু করে বলিউডের মহাগুরু হয়ে ওঠার যাত্রা শুধুমাত্র তাঁর অভিনয় প্রতিভার নয়, তাঁর অনুপ্রেরণামূলক সংগ্রামেরও প্রতিফলন। মৃনাল সেনের ‘মৃগয়া’ দিয়ে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর ‘ডিস্কো ড্যান্সার’ হয়ে ওঠার যে অসামান্য সাফল্য—তা আজও তরুণ প্রজন্মের জন্য এক বিরাট অনুপ্রেরণা। এই সাফল্যের পেছনে লুকিয়ে আছে অনেক কঠিন লড়াই, কলকাতার সরু গলি থেকে শুরু করে বলিউডের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় অভিনেতা হয়ে ওঠার পথে অজস্র প্রতিকূলতা। মিঠুনের জীবন বাঙালির চিরকালীন প্রিয় শব্দ ‘স্ট্রাগল’ দিয়ে মোড়া, যা তাঁকে আজকের ‘মহাগুরু’তে পরিণত করেছে।
মিঠুনের অভিনয় দক্ষতা, মার্শাল আর্টের নিপুণতা, আর উদ্ভাবনী নৃত্যশৈলী তাঁকে বলিউডে এক অনন্য অবস্থানে নিয়ে যায়। তাঁর সংগ্রামী জীবন আজও তরুণ প্রজন্মকে পথ দেখায়। সেই তরুণ, যে একদিন কলকাতার রাস্তায় স্বপ্ন দেখত, আজ তিনি বলিউডের আইকন।
মিঠুন চক্রবর্তীর এই অসাধারণ সংগ্রামের গল্প যেমন বাংলার গর্ব, তেমনই তাঁর দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার প্রাপ্তি গোটা ভারতীয় সিনেমার জন্য এক গর্বের মুহূর্ত। তাঁর জীবনের নানা অজানা অধ্যায়—কিভাবে কলকাতার সরু গলি থেকে উঠে এসে বলিউডের মহাগুরু হয়ে ওঠা, কিভাবে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করতে করতে তিনি হয়ে উঠলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রধান মুখ, এবং তাঁর রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন ধাপ—সবই উঠে আসবে TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজে। TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ ‘মহাগুরুর দাদাসাহেব’। আজ রবিবার রাত ১০ টায়।
Be First to Comment