Press "Enter" to skip to content

এলাচ রান্নায় স্বাদ বাড়ায়। শ্বাসকষ্ট, হুপিংকাশি, ফুসফুস সংক্রমণের মতো সমস্যায়, গ্যাস্ট্রিক সমস্যা প্রতিরোধ করে, অ্যাসিডিটি দূর করে, এটি ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে এবং হজমে সাহায্য করে……।

Spread the love

সুস্মিতা দাস : কলকাতা, ২৬, অক্টোবর, ২০২০। বাঙালিদের প্রিয় উৎসব দূর্গাপূজার আজ সমাপ্তি হলো। আজ বিজয়া দশমী। আমরা পুজোতে নিজেদের নানা রূপে সাজাতে পছন্দ করি। সেই কারণে আমার ও ইচ্ছে হল আমার লেখাকে নতুন রূপে সাজাতে। পাঠকরা জানেন আমি সাধারণত ফল নিয়ে লিখে থাকি। এই সময় কিছু আলাদা রকমের লেখা আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি। আজকের বিষয় “এলাচ”।

এলাচ : —

এলাচকে মশলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এলাচের বিশদ গুনের জন্য মশলার সেরা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। রান্নায় স্বাদ ও সুগন্ধি বাড়ানোর জন্য এলাচকে মশলার রানি বলা হয়। আমরা যে গরমমশলা ব্যবহার করি তার প্রধান অংশ এই এলাচ। আমাদের সকলের রান্নাঘরে এলাচ পাওয়া যাবে। নিরামিষ হোক কি আমিষ গরমমশলা ছাড়া হয় না ফিনিশ। এলাচের রন্ধন শিল্পে ভূমিকা সম্পর্কে আমাদের সবার জানা, তবে এর স্বাস্থ্যগুণ আমাদের অনেকেরই জানা নেই।

এলাচ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ : —

এলাচের বৈজ্ঞানিক নাম Elettaria Cardamomum. এলাচ গাছ বহুবর্ষজীবী ও গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে জন্মে। এটি একটি আদা জাতীয় গাছ। তবে এর পাতাগুলো আদা পাতার থেকে ঘন, বড় ও সুগন্ধযুক্ত। এলাচের ফুলগুলো ফ্যাকাশে ভায়োলেট বা সাদা হয়। এলাচের আকার কিছুটা লম্বা। এটি গুচ্ছাকারে জন্মে থাকে। লম্বা পুষ্পদন্ডের চার পাশ দিয়ে এলাচের ফলন হয়। বছরে দুবার এলাচের ফলন হয়। তবে নভেম্বর – ডিসেম্বরে উৎপাদিত এলাচ উৎকৃষ্ট মানের হয়। এলাচের ভেতর ধূসর বা কালচে রঙের অনেক গুলি বীজ থাকে। এটি দক্ষিণ এশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় উদ্ভিদ। ভারতীয় আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে এলাচের ব্যবহার হয়ে থাকে। ভারত ছাড়াও নেপাল, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা এবং মধ্য আমেরিকায় জন্মে। ভারতের সিকিম এবং কেরল রাজ্যে চাষ হয়।এলাচ ওজন দ্বারা সবচেয়ে ব্যয়বহুল মশলা গুলির মধ্যে একটি।

ব্যবহারউপকারিতা : —

শ্বাসকষ্ট, হুপিংকাশি, ফুসফুস সংক্রমণের মতো সমস্যায়, গ্যাস্ট্রিক সমস্যা প্রতিরোধ করে, অ্যাসিডিটি দূর করে, এটি ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে এবং হজমে সাহায্য করে। পেটের যে কোনও সমস্যা যেমন বদহজম নিরাময়ে সহায়তা করে,হাঁপানি ও হৃদরোগ নিরাময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হৃদরোগ প্রতিরোধ করে, হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখে ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া এলাচ রক্তসঞ্চালনে সহায়ক মুখের দুর্গন্ধ দূর করে, চুলকানি দূর করে,
মাথা ব্যাথা দূর করে, এছাড়াও এলাচ চা মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে।

এলাচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। তাই ত্বকের সমস্যায় এলাচ খুব উপকারি। কারো ত্বকে কালো ছোপ ছোপ দাগ থাকলে তা দূর করতে এলাচ বেটে দাগে নিয়মিত লাগালে দাগ চলে যাবে। কোষ্ঠকাঠিন্য ও জ্বরে উভয় সমস্যায় এলাচ খুব কাজের। এলাচ, বেল ও দুধ জলের সঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে গরম করুন।

দুধ যখন হয়ে আসবে তখন তা একটু ঠাণ্ডা করে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও জ্বর কমে যাবে।

ছবি ~ গুগল থেকে সংগ্রহ করা।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.