সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: কলকাতা, ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২০। বাংলা ছবির সংকট প্রকট হচ্ছে। বাংলা ছবি এখন নিজভূমে পরবাসী। প্রযোজকদের ঘাটতি সঙ্গে ছবি মুক্তির প্রয়োজনীয় প্রেক্ষাগৃহ পাওয়া এখন লটারি পাওয়ার মতো। জাতীয় পুরস্কার পাওয়া পরিচালক প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য থেকে হামি ছবির পরিচালক শিবপ্রসাদ নন্দিতা কিম্বা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় এমনকি দেবের মতো সুপারস্টার সাংসদ তাদের ছবি প্রদর্শনের জন্য প্রেক্ষাগৃহ পান না। দেবকে তো মুখ্যমন্ত্রীর শরণাপন্ন হতে হয়। হিন্দি ছবির প্রযোজকরা বেশি টাকা দেন। ফলে তাদের জন্য পরিবেশকদের জামাই আদর। এভাবেই বৃহৎ পুঁজি বাংলা সংস্কৃতিকে গ্রাস করছে।এই অবস্থায় কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে নতুন প্রজন্মের পরিচালক ও কিছু সাহসী প্রযোজকরা। বৃহস্পতিবার বাইপাস সংলগ্ন এক বিলাসবহুল হোটেলে কিছুক্ষন এন্টারপ্রাইস এর ব্যানারে নতুন প্রজন্মের পরিচালক রোহান সেন ছবি বানিয়েছেন “এভাবেই গল্প হোক”। কার্যকরী প্রযোজক দেবার্ঘ মুখার্জি। ছবির কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ নির্মাণ করেছেন পরিচালক রোহান সেন এবং অর্পণ দেব। নেপথ্য সঙ্গীত ও সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্ব সামলেছেন রাজদীপ গাঙ্গুলি। কণ্ঠশিল্পীদের তালিকায় আছেন রূপঙ্কর, অমৃতা দে, কিঞ্জল চ্যাটার্জি। গানের কথা লিখেছেন রাজ সেন। কামেরায় অনুভব চ্যাটার্জি
ও রিপন হোসেন। ছবির চরিত্রলিপিতে আছেন জয় সেনগুপ্ত, শান্তি লাল মুখার্জি, আনন্দ এস চৌধুরী, রুপঞ্জনা মিত্র, বিবৃতি চ্যাটার্জি, শাশ্বতী গুহঠাকুরতা, মৃণাল মুখার্জি, সুজাতা ঘোষ আত্রেয়ী বোস, ইনা বাগচী প্রমুখ।
ছবির কাহিনী গড়ে উঠেছে সিনেমার ভেতর সিনেমা দিয়ে। বিদেশি ছবিতে বিষয়টি নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে।
বাংলাতে প্রথম দেখেছিলাম মৃণাল সেনের খন্ডহর। তবে সদ্য তরুণ পরিচালক রোহান এই এভাবেই গল্প হোক ছবিতে সিনেমার ভেতর সিনেমা কিভাবে ট্রিটমেন্ট করেছেন তা বোঝা যাবে ছবিটি মুক্তি পেলে। ছবির সংক্ষিপ্তসার সাংবাদিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ছবির সঙ্গীত মুক্তি ও ট্রেলর মুক্তি অনুষ্ঠানে। কলকাতার বাইপাস সংলগ্ন এক বিলাসবহুল হোটেল আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিল্পী ও কলাকুশলীদের হাজিরা পরিচালককে উপভোগ করতে দেখা গেলো।
Be First to Comment