শুভদ্যুতি দত্ত, কলকাতা, ২২ মে, ২০২০। বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গ। আজ পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সফরসঙ্গী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। প্রথমেই যান দক্ষিণ ২৪ পরগণা, সন্দেশখালি আকাশপথে ঘুরে দেখেছেন। হাতে তুলে দেওয়া হয় আগেই এ রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ম্যাপ। হেলিকপ্টারের জানালা দিয়ে মানচিত্র ধরে তিনি দেখেন প্রলয়াঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে তছনছ হয়ে যাওয়া এই পরিস্থিতি।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে অবহিত করেন সমস্ত কিছুই। তবে, প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে। এরপর দিক পরিবর্তন করেন তিনি। সটান উত্তর ২৪ পরগণা জেলায়। এবার বসিরহাট কলেজ মাঠে নামে হেলিকপ্টার। পর্যালোচনা বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বৈঠক শুরু হয়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তাঁর ডানদিকে আসনে। একেবারে বাম দিকের আসনে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মধ্যমণি প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ পদাধিকারিদের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। উম-পুন পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যের ত্রান এবং পুনর্গঠনে কেন্দ্র অগ্রিম বাবদ ১০০০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মৃতের পরিবারকে ২ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে গুরুতর জখমদেরও ৫০ হাজার টাকা মাথাপিছু অর্থ দেওয়ার কথা ও জানানো হয়েছে। এপর্যন্ত রাজ্যে উম-পুনের দাপটে কমপক্ষে ৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। গাছ পড়ে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ২২ জন মারা যান। ২১ জন দেওয়াল ভেঙে যাওয়ার জন্য প্রাণহানি ঘটেছে। ৫ জন মারা গেছেন ছাদ ধসে যাওয়ার কারণে। জলে পড়ে গিয়ে ৩ জনের মৃত্যু। সাপের কামড়ে ১ জন, হৃদরোগে ২ জন, ঘর ভেঙে পড়লে ২ জন এবং বিদ্যুৎ এর পোস্ট ভেঙে আরো ২ জন মারা গিয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে এই রিপোর্ট, সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। সাড়ে ১০ লাখ বাড়ি ঝড়ের দাপটে ভেঙে পড়েছে। প্রায় ১ কোটি ৩৬ লাখ ১৫ হাজার মানুষ এই উম-পুনের তান্ডব লীলার শিকার। ৫৬ হাজার মানুষ এই মুহূর্তে ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন বলে সরকারি সূত্রের খবর।
রাজধানী দিল্লি থেকে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী আজ সকালে এগারোটা নাগাদ দমদম নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে স্বাগত জানান। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ বিমানে কলকাতায় এসে তিনি হেলিকপ্টারে আকাশপথে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। সফরসঙ্গী ছিলেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও বাবুল সুপ্রিয়। দুই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলা প্রসাদ সারেঙ্গী ও দেবশ্রী চৌধুরী। এ রাজ্যের সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী চলে যান ওড়িশায় রাজ্যে সফরে।
“উম-পুন” — বাংলা’কে প্রধানমন্ত্রীর অনুদান এক হাজার কোটি টাকা।
More from GeneralMore posts in General »
- Cycling is Faster than Perceived – Beats Cars in Congested Corridors….
- দুপুর বেলায় খাওয়া দাওয়ার পর্ব হল শেষ, বাংলাদেশে এই দিনটার গুরুত্ব অশেষ…।
- সুবীর কুমার সাহা গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন….।
- Dish TV Launches Dish Smart+ for Android TV’s – A Game-Changer Offering Seamless Entertainment experience across TV and OTT…
- মহাবোধি সোসাইটি হলে বীর সাভারকরের ১৪৩ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হলো…।
- কলকাতায় ন্যাশনাল ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নস এর সর্বভারতীয় সভাপতি কে সম্বর্ধনা…।
Be First to Comment