অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায় : কলকাতা, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫। আজ বুধবার পূণ্য মাঘী পূর্ণিমা। আজকের দিনে বিশ্বম্ভর মিশ্র সন্ন্যাস গ্রহণ করে শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য নামে পরিচিত হন। মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের সন্ন্যাসের ৫০০বছর পূর্তি উপলক্ষে পুরীতে এক মহতি অনুস্ঠানের আয়োজন করে ছিল ফোরাম ফর শ্রীচৈতন্য। কয়েক বছর আগে পুরীর টাউন হলে এই উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৫০০জন সাধু সন্ন্যাসী। বিভিন্ন আশ্রম , মঠ থেকে শ্রদ্ধেয় সাধু মহাত্মাদের উপস্থিতিতে স্মরণ করা হয় মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবকে ।
মাঘী পূর্ণিমার পূণ্যদিনে জগন্নাথ দর্শনের সাথে সাথে ওই অনুস্থানে অংশগ্রহন করার কথা মনে হতেই মনটা আনন্দে ভরে উঠছে।পুরীর সন্মানীয় গজপতি মহারাজা সারাক্ষন উপস্থিত ছিলেন সেইদিন । অসাধারণ বক্তৃতা দেন মহাপ্রভুর জীবনের উপর । শ্রদ্ধেয় বৃন্দাবন দাস কাঠিয়া বাবার সেই দিনের ভাষণ ছিল সারা জীবন মনে রাখার মতো। সংস্কৃত ভাষায় এত সহজ ও প্রাঞ্জল বক্তৃতা হতে পারে তা আমার ধারণার অতীত ছিল। মন্ত্রমুগ্ধের মতন শুনলাম তাঁর সেই অসাধারণ বক্তৃতা। আর ছিলেন রবিশংকরজী।
অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে তাঁর মহাপ্রভুকে স্মরণ সকলকেই মুগ্ধ করেছিল। সভার পরে শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের সিংহরদ্বার থেকে শুরু হয়েছিল সংকীর্তন, সংকীর্তণরত মানুষের দল এগিয়ে চলেছে বড়ডন্ডা দিয়ে সেও এক মনোরম দৃশ্য।
সকালে অধিবেশনের পর সন্ধ্যায় শ্রীগুণ্ডিচা মন্দিরের সামনে অনুষ্ঠিত হয় প্রকাশ্যসভা । গুণ্ডিচামন্দিরের মাথার উপর সুবিশাল পূর্ণিমার চাঁদ , সামনে সন্ন্যাসী মহাত্মারা মঞ্চ আলো করে বসে আছেন।এক অসাধারণ স্বর্গীয় পরিবেশে শ্রীচৈতন্যদেবকে স্মরণ করার ব্যবস্থা করার জন্য ফোরামের সভানেত্রী ভারতীদি (গাঙ্গুলী )ও অন্য সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সার্থক হয়ে ছিল সেইদিনের অনুস্ঠান। শ্রদ্ধেয় বন্ধুগৌরব মহারাজ ও চৈতন্যময়’দার জন্যই আমার সৌভাগ্য হয়েছিলো সেইদিন পুরী গিয়ে সেই পবিত্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে তার রসাস্বাদন করার। আমি সেইজন্য চির কৃতজ্ঞ তাদের কাছে ।
রাতে মন্দিরে প্রভু জগন্নাথের অপার্থিব গজউদ্ধারণ বেশ দর্শন ছিলো আমার জীবনে এক পরম প্রাপ্তি। জগন্নাথ মহাপ্রভুর এই বেশ এক কথায় মনোমুগ্ধকর। পরের দিন টোটাগোপীনাথ মন্দিরে প্রসাদ পাওয়া হয়েছিল অনেকের সঙ্গে বন্ধুগৌরব মহারাজের সৌজন্যে।আজ এই পুরীযাত্রার কিছু ছবি এখানে তুলে ধরলাম। জয় জগন্নাথ।জয় জগন্নাথ । জয়মহাপ্রভু ।
Be First to Comment