বাবলু ভট্টাচার্য : আজ (৫ ডিসেম্বর) ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস’। ২০০২ সালে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালনের প্রস্তাব উত্থাপন করে মৃত্তিকা বিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন (আইইউএসএস)। পরে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার অনুমোদন লাভের পর প্রতি বছর ৫ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
বিজ্ঞানের ভাষায় মাটির জীববৈচিত্র হলো মাটিতে বসবাসকারী উদ্ভিদ, প্রাণী ও অণুজীবসহ জীবসম্ভার এবং সেগুলোর সমন্বয় গঠিত বাস্তুতন্ত্র। মাটিতে বসবাসকারী অসংখ্য অণুজীব, ছত্রাক, প্রটোজোয়া ইত্যাদি মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পৃথিবীর জীববৈচিত্র্যের প্রায় এক-চতুর্থাংশের আবাসস্থল মাটিতে। নানা রকম বিষাক্ত ভারী ধাতব পদার্থের কারণে আজ দূষিত হয়ে পড়ছে মাটি। দেশের মাটি উর্বর ও সুস্থ রাখায় করণীয় সব বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে একটি বিশেষ দিবস রয়েছে। যা ‘ওয়ার্ল্ড সয়েল ডে’ বা ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস’ নামেই বিশ্বব্যাপী পরিচিত হয়ে উঠেছে।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশেও করা হয়েছে নানা আয়োজন। তবে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে আয়োজন অনেকটাই সীমিত।
সাধারণত জাতিসংঘ প্রতিবছর দিবসটি পালন করে থাকে। এটি মূলত, থাইল্যান্ডের রাজা ভুমিবল আদুলিয়াদেজের জন্মদিনকে সম্মান জানাতেই এ দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বের প্রায় ৬০ হাজারের বেশি মৃত্তিকাবিজ্ঞানী এ দিবসটি সাড়ম্বরে পালন করে থাকেন। মৃত্তিকা সম্পর্কিত জ্ঞান বৃদ্ধি এবং তার প্রচার ও প্রসারের দায়িত্ব এই বিজ্ঞানীদের। বিশ্বের সব দেশে সুস্থ মৃত্তিকার সুফলকে উৎসাহিত করতেই এ আয়োজন করে থাকেন।
Be First to Comment