নিজস্ব প্রতিনিধি : কল্যাণী, ১০ অক্টোবর ২০২৩ : সাহিত্য, সংবাদ ও চলচ্চিত্রকে সামনে রেখে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম সার্টিফিকেট কোর্সের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল একদিনের আন্তর্জাতিক আলোচনাসভা। এই আলোচনাসভার উদ্বোধন করে উপাচার্য অধ্যাপক অমলেন্দু ভুঁইয়া জানান, “একসময় শারদীয়া উৎসবকে সামনে রেখে স্কুল কলেজে নাটক, গীতিআলেখ্য, নৃত্যালেখ্য ইত্যাদির চল ছিল। এখন সেটা হারিয়ে গেছে।
বাংলা বিভাগের জার্নালিজম সার্টিফিকেট কোর্স সেই ধারা ফিরিয়ে এনেছে।” তাঁর আরও সংযোজন, “এফ. এমে পুজোর গান ও আড্ডা, নিউজ রুম থেকে সরাসরি এই ধরনের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণরূপে অভিনব। নাটিকা ও নৃত্যালেখ্যে যেন পুজোর গন্ধ পেলাম।” জার্মান রেডিও ও বিবিসির বাংলা বিভাগের প্রাক্তন সম্পাদক সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, “গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ মিডিয়ার একটা বড়ো ভূমিকা রয়েছে এই অচলাবস্থা সংবাদ মাধ্যম যদি নিরপেক্ষ না হতে পারে, সেক্ষেত্রে কখনওই স্থায়ী সমাধান পাওয়া যায় না।”
আসামের গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান, অধ্যাপক বিনীতারানী দাসের মতে, “কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় মানুষের বিপন্নতার এই সময়ে এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মানবিকতার জাগরণের ক্ষেত্রে এক সুদৃঢ পদক্ষেপ নিয়েছে। আলোর মতো তার দিক দিগন্তে হয়তো ছড়িয়ে পরবে।” উল্লেখ্য, এই অনুষ্ঠানে জার্নালিজম সার্টিফিকেট কোর্সের তৃতীয় ব্যাচের শংসাপত্র প্রদান ও চতুর্থ ব্যাচের শুভারম্ভ হয়।
কোর্সের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক সুখেন বিশ্বাস জানান, “সাহিত্যের ভিত্তি সংবাদ। আর সিনেমা হল সাহিত্যেরই সৃজনশীল রূপ। তিনটিই পরস্পরের উপর নির্ভরশীল। একটিকে বাদ দিয়ে অন্য দুটি অসম্পূর্ণ। আজকের আলোচনাসভায় সেটিই স্পষ্ট হয়েছে।” অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র পরিচালক উৎপলেন্দু চক্রবর্তী জানালেন, “চলচ্চিত্র নিছক বিনোদনের মাধ্যম নয়, যা মানুষের উপর সর্বাত্মক প্রভাব ফেলে।
আমার মতে, গণমাধ্যমকে বলা হয় গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ, আর চলচ্চিত্র হল উপগ্রহ, যা উপর থেকে সবার উপর সমান নজর রাখে।” অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক সঞ্জিৎ মণ্ডল, অধ্যাপক প্রবীর প্রামাণিক, অধ্যাপক সাবিত্রী নন্দ চক্রবর্তী, অধ্যাপক নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
Be First to Comment