নিউজ স্টারডম : কলকাতা, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের পর উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর। বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ও প্রাণহানিতে পর্দা নেই। নামে বাজির কারখানা হলেও আসলে বোমার আঁতুড়ঘর, এগরার পর দত্তপুকুরকাণ্ডেও এমন অভিযোগ জোরদার।
বাংলায় এক একটা ঘটনা ঘটে, শুরু হয় শোরগোল। সেই শোরগোল থিতিয়ে যেতেই আবার বহাল তবিয়তে চলতে থাকে মৃত্যুর কারবার। গ্রেপ্তারি, ধরপাকড়ে সত্ত্বেও আড়ালে থেকে যায় আসলি মদতদাতা, রাজনীতির কারবারিদের দল। যেখানে রাজনীতির দাদাদের আশীর্বাদ না-পেলে গাছের পাতা নড়ে না, সেখানে শাসকদলের অজান্তে কি কোনও এলাকায় এমন কারবার চালানো সম্ভব? কিছুদিনের মধ্যে এই সব অস্বস্তিকর প্রশ্নও চলে যায় আড়ালে। শুধু অহরহ জেগে থাকে মৃত্যুফাঁদ। ভয়ানক বিপদের মাঝে বাস করেন সাধারণ মানুষ। এমনকী শৈশবও রেহাই পায় না এখানে!
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত ওই বাজি কারখানার কোনও লাইসেন্স ছিল না। পুলিশকে সে সব জানালেও আমল দেওয়া হয়নি তাতে। দত্তপুকুরের মোচপোলের ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে, আগেও বাজি কারখানার আড়ালে বোমা তৈরির অভিযোগ উঠেছে বহুবার। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে তার প্রমাণও পেয়েছিল রাজ্য পুলিশ। শুধু বোমা নয়, বিভিন্ন জেলায় অস্ত্র তৈরি এবং মজুত রাখার খবর আসে প্রায়ই। ভোটের আগে বাড়ে বোমা-বারুদের চাহিদা। এরই নিটফল– হিংসার হোলিখেলা। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনও তার সাক্ষী। বোমা-বারুদের এই বেলাগাম সরবরাহ মিলছে কোথা থেকে? অবৈধ বাজি কারখানাগুলিই কি তার উৎস্থল?
বেআইনি বাজি কারখানায় লাগাম টানতে প্রশাসনের শীর্ষ মহল নির্দেশ দিয়েছে অনেক বার। তা সত্ত্বেও রাজ্যে বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধের নামগন্ধ নেই। শীর্ষ মহল নির্দেশ দিলেও প্রকারান্তরে বাজি কারখানার পিছনে কি এমন বড় কোনও মদত রয়েছে যে, স্থানীয় থানা সেখানে হস্তক্ষেপ করছে না? এ সব নিয়েই TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ বোমা-বারুদ-বাংলা। দেখুন ৩ সেপ্টেম্বর, রবিবার রাত ১০টায়।
Be First to Comment