নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ২৭শে আগস্ট, নিশান উড়িয়ে ‘হাতে চাঁদ’ পেয়েছে ভারত। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহে সফল ‘সফট ল্যান্ডিং’-এর কৃতিত্ব আগে ছিল শুধু আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের। ইসরোর সৌজন্যে এখন সেই ক্লাবের সদস্য ভারতও। ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে কম খরচে, দিন-রাত এক করে মহাকাশ অভিযানে ইসরোর বিজ্ঞানীদের এই কৃতিত্ব ঐতিহাসিক।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দুই সুপারপাওয়ার সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও আমেরিকার মধ্যে ‘স্পেস রেস’-এর শুরু। মহাকাশে মানুষ পাঠিয়ে ওয়াশিংটনকে প্রথম টেক্কা দেয় মস্কো। ৬৯-এ প্রথম মানুষ হিসেবে নীল আর্মস্ট্রংয়ের ‘মুনওয়াক’-এ রাশিয়াকে পাল্টা দিয়েছিল আমেরিকা। ঠান্ডাযুদ্ধের জেরে তৈরি সেই ‘স্পেস রেস’ যেন ফিরে এসেছে নতুন সহস্রাব্দে! নতুন নতুন দেশ এখন দৌড়ে। সম্প্রতি রাশিয়া যা পারেনি, সেটাই করে দেখিয়েছে ভারত।
বীরবিক্রমে চাঁদের মাটি ছোঁয়ায় এখন সুপারপাওয়ার দেশগুলির সঙ্গেও টক্কর দিচ্ছে ভারত। এই ‘জায়ান্ট লিপ’-এর নেপথ্যে জড়িয়ে আছেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার অন্যতম পথিকৃৎ বিক্রম সারাভাই। ১৯৪৭ সালে ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানের আঁতুড়ঘর বলে পরিচিত ‘ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিক্রম। এই সংস্থা-ই ইসরোর পূর্বসূরি। ১৯৭৫ সালে রুশ কসমোড্রোম থেকে সফল উৎক্ষেপণ হয় ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘আর্যভট্ট’-র। বিক্রম সারাভাই সেই সুদিন দেখে যেতে পারেননি। ১৯৭১ সালে মাত্র ৫২ বছর বয়সে মৃত্যু হয় এই বিজ্ঞানসাধকের। বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেকেরই মত, তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না।
আগের চন্দ্রাভিযান সম্পূর্ণ না হলেও হেরে যায়নি ইসরো। ভুল কোথায় ছিল, সেটা বুঝতেই কেটে গিয়েছিল এক বছর। শূন্য থেকেই নতুন করে শুরু করতে হয়েছিল সবটা।
চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যে থেমে থাকছে না ইসরো। আগামী দিনে আরও অনেক পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। কী কী সেই পরিকল্পনা? ইসরোর এই সফল অভিযানে যুক্ত ছিলেন একদল বাঙালি বিজ্ঞানীও। কী তাঁদের অবদান? সে সব নিয়েই TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ চাঁদের আকাশে ভারত-উদয়। দেখুন ২৭ অগস্ট, রবিবার রাত ১০টায়।
Be First to Comment