নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ৩১ আগস্ট, ২০২৪। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ইতিহাস যেন এক জীবন্ত কিংবদন্তি। ১৯১৬ সালে ডা. রাধা গোবিন্দ করের স্বপ্নের এই প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়েছিল কলকাতার বুকে। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে, এই প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র চিকিৎসা ক্ষেত্রেই নয়, মানবতার সেবায়ও এক মাইলস্টোন হয়ে উঠেছিল। কত ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীর নিরলস প্রচেষ্টার ফল এই পরম্পরা, যা নিষ্ঠা ও উৎকর্ষতার প্রতীক হিসেবে আজও বেঁচে আছে ।
কিন্তু ৯ অগাস্টের এই নারকীয় ঘটনার পর, যে প্রতিষ্ঠান একসময় আলোর প্রতীক ছিল, সেই একই প্রতিষ্ঠান কালো অন্ধকারে ঢেকে গেল। হাসপাতালের মধ্যে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাটি যেন এক বিস্ফোরণের মতোই ধাক্কা দিল শহর থেকে রাজ্যের প্রতিটি কোনায়। মানুষের মনে জন্ম নিল ভয়, সংশয়, এবং এক অনিবার্য প্রশ্নের—এই প্রতিষ্ঠানটি কি আর আগের মতো আছে? প্রশ্ন উঠল হাসপাতালের সুরক্ষা নিয়েও। সেই প্রশ্ন যেন আরও জোরালো হল ১৪ অগাস্ট রাত্রে যখন পুলিশের ঘেরাটোপে থাকা আরজি কর হাসপাতালে হামলা করল একদল যুবক।
একদিকে আরজি কর হাসপাতালের পরিস্থিতি আর অন্যদিকে এই ঘটনার তদন্ত যতই এগোচ্ছে বেরিয়ে আসছে আরও ভয়াবহ সত্য। হাসপাতালের প্রশাসনিক স্তরে ছিল গভীর দুর্নীতি, দীর্ঘদিন ধরে ধামাচাপা দেওয়া ঘৃণ্য ঘটনাপ্রবাহ। হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন তো উঠেছে পাশাপাশি, এই যাবতীয় দুর্নীতি এবং অদক্ষতা প্রকাশ করে দিল, মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অনেক মুখ। অর্থ আত্মসাৎ, সরকারি টাকার অপব্যবহার, আর ক্ষমতার অপপ্রয়োগ—হাজারো অভিযোগের সম্মুখীন হতে হল হাসপাতালের শীর্ষস্থানীয়দের।
আজ, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল একটি কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি। একসময়ের গৌরবময় ইতিহাস এবং ঐতিহ্য কি এই দুর্নীতি এবং অপরাধের ছায়ায় চিরকাল ঢাকা পড়ে থাকবে? নাকি তারা আবার নতুন করে আলোর পথে যাত্রা শুরু করবে? তদন্তে সিবিআই। হাজারো গাফিলতির অভিযোগ প্রাক্তন প্রিন্সিপাল ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বিচারের দাবিতে ছড়িয়ে পড়ছে আগুনের লেলিহান শিখা। সেই আগুনে কী শুদ্ধ হবে আরজি করের গরিমার ইতিহাস? উত্তর খুঁজবে TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজে। TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ ‘ঘুঘুর বাসা!’। ১ সেপ্টেম্বর, রবিবার রাত ১০ টায়।
Be First to Comment