নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪। তিলোত্তমার মৃত্যুর পর কেটে গেছে প্রায় দেড় মাস। যত দিন যাচ্ছে, তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই যেন একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে উঠছে, তিলোত্তমার মৃত্যু শুধুই নৃশংসতার জন্য ভয়াবহ অপরাধ নয় বরং তা একটি প্রাতিষ্ঠানিক হত্যাকান্ড। এই ঘটনা শুধুমাত্র চিকিৎসা সমাজকে কাঁপিয়ে দেয়নি, বরং প্রশাসনিক পরিকাঠামোর ব্যর্থতা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, নারীসুরক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু উস্কে দিয়েছে।
৯ আগস্ট। ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই, পশ্চিমবঙ্গ তথা আপামর দেশে উঠেছিল ক্ষোভের ঢেউ। সেই ঢেউ উদ্দাম জলোচ্ছ্বাসের আকার নিয়েছে প্রতিদিন। প্রতিদিনই সামনে এসেছে প্রশাসনিক গাফিলতি, প্রমান লোপাট, তদন্ত ভুল পথে চালিত করার মত গুরুতর অভিযোগ। রাজ্য প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া প্রথম থেকেই ছিল বিলম্বিত, উদাসীন। রাজনৈতিক প্রভাব, একটা আমলাতান্ত্রিক পাওয়ার প্লে যেন প্রথম থেকেই কোন একটা সত্যকে আড়াল করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল।
ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ এবং জনসমুদ্রের চোখে-মুখে লেগে থাকা হতাশায়, প্রশ্ন ওঠে স্টেট মেশিনারি ও তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা নিয়ে? এক এক করে দিন গেছে। যখন দিনগুলি সপ্তাহে পরিণত হল, তদন্তে অগ্রগতি তো দূর, উল্টে তদন্তের গতিপথ ঘুরে যেতে থাকল তখনই আদালত, ন্যায়বিচার এবং আইনের চূড়ান্ত রক্ষক হিসেবে, অভিভাবকের ভূমিকায় অবতীর্ন হলেন।
যখনই রাজ্য সঠিক তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে বা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে রাজ্যের মুখ পুড়েছে, তখনই হয় কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট ন্যায়বিচারের শেষ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তির ঘটনায় বা নির্ভয়া কাণ্ডের বিচারের সময় আদালতই হয়ে উঠেছে অবিচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের শেষ ঠিকানা। বারবার ধর্ষণ বা নির্যাতনের ঘটনায় মহিলারা ন্যায্য বিচার, সুরক্ষা ও মর্যাদা চেয়ে যখনই স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অবহেলার শিকার হয়েছেন। তদন্তকারী দলকে পথ দেখিয়েছে আদালত।
আজও একটি মেয়ের পরিবার, স্বজন তাকিয়ে আদালতের দিকে। আদালতের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। আদালতের কাঠগড়া, সওয়াল-জবাব, শুনানি সবকিছু কবে শেষ হবে? সেই শেষের দিনটার অপেক্ষাতেই সবাই। কীভাবে চলছে বিচারপ্রক্রিয়া? কী বলছে সর্বোচ্চ আদালত? কবে আসবে প্রতীক্ষিত সেই দিন? কীভাবে যখনই অবিচারের অন্ধকার নেমে এসেছে, ত্রাতার ভূমিকায় নেমে এসেছে আদালত? সেই উত্তর খুঁজতেই TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ, ‘আদালত ও একটি মেয়ে’। ২২ সেপ্টেম্বর, রবিবার রাত ১০ টায়।
Be First to Comment