*সিঙ্গুরের টাটা-কাহিনি যেন শেষ হয়েও শেষ হয় না!*
নিজস্ব প্রতিনিধি ; কলকাতা, ৪ নভেম্বর, ২০২৩। ২০০৮ সালে দেবীপক্ষের মধ্যেই সিঙ্গুর থেকে বিদায় নিয়েছিল টাটা মোটরস। তার পর জমি অধিগ্রহণ অবৈধ ছিল বলে সুপ্রিম কোর্টের রায়, সেই জমিতে তৈরি কারখানা গুঁড়িয়ে দেওয়া, জমি প্রত্যর্পণ, সেখানে সর্ষে চাষ– গল্প যে ফুরোয়নি, তিন সদস্যের সালিশি ট্রাইবুনালের রায়ে তা স্পষ্ট হয়েছে সম্প্রতি।
ট্রাইবুনাল নির্দেশ দিয়েছে, টাটা মোটরস-কে ক্ষতিপূরণ দেবে পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগম। সুদে-আসলে অঙ্কটা ১৩৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি। সম্ভবত মামলা-মোকদ্দামায় জল গড়াবে আরও, এই ট্র্যাজিক-কাহিনিতে সহজে পর্দাও পড়বে না। সেই কাহিনির কেন্দ্রীয় চরিত্র যে পশ্চিমবঙ্গ, তাতে সংশয় নেই। সাধারণ মানুষের করের টাকা কি তাহলে শুধু শিল্পমেধ যজ্ঞেই বরবাদ হবে?
কর্মসংস্থানের স্বার্থেই পশ্চিমবঙ্গে শিল্পস্থাপন জরুরি ছিল। কিন্তু সিঙ্গুর-পর্বে রাজ্যের স্বার্থ ছাপিয়ে সেই সময়কার মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দলের দম্ভ প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ক্ষমতারই দম্ভে রাজ্যের সর্বনাশ ও নিজেদের রাজনৈতিক ভরাডুবি ডেকে এনেছিল তখনকার শাসকদল সিপিএম। এই শিল্পমেধ যজ্ঞে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক লাভ হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তার মূল্য পশ্চিমবঙ্গকে এখনও চোকাতে হচ্ছে। ভবিষ্যতেও হবে।
সালিশি ট্রাইবুনালের রায়ের পর দেড় দশকের এই ট্র্যাজেডি নিয়ে কী বলছেন সিঙ্গুরবাসী বা সেখানকার ইচ্ছুক-অনিচ্ছুক চাষিরা ? হাতেগরম প্রতিক্রিয়া জানতে তাঁদের কাছে গিয়েছিলেন TV9 বাংলার প্রতিনিধিরা। কর্মসংস্থানের হাহাকারেরই কারণে রাজ্য বড় শিল্প যে জরুরি, কোথাও কোথাও আয়োজন করা হলেও শিল্পের ভাগ্যে এখনও শিকে ছেঁড়েনি, সেই কাহিনিও তুলে ধরেছে TV9 বাংলা।
আবার এখন বাঁকা হাসি হেসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাড়ে দোষ চাপাতে ব্যস্ত আগেকার শাসকদল সিপিএম। এখনকার শাসকদলের অবশ্য চাঁদমারি শুধু সিপিএম। পরস্পরের ঘাড়ে দোষ চাপাতে ব্যস্ত দু’পক্ষই। বিজেপিও ঘোলা জলে মাছ ধরতে ব্যস্ত। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি বোধহয় শুধু দলেরই স্বার্থ চিনেছে! রাজ্যের স্বার্থ দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে ভাবা সেখানে কষ্টকল্পনা। এমন সব বিষয় নিয়েই TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ ‘সিঙ্গুর: শিয়রে সর্বনাশ!’। আগামীকাল ৫ নভেম্বর, রবিবার রাত ঠিক ১০টায়।
Be First to Comment