নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ১২ জানুয়ারি,২০২৫। ৭ জানুয়ারি, ২০২৫। চিনে তখন সকাল ৯ টা ৫। ৭.১ মাত্রায় কম্পনে কেঁপে উঠলো তিব্বতের শিগাতসের মাটি। তারপর ৪০ বার আফটার শক। তার মধ্যে ১৬টি কম্পনের মাত্রা ছিল ৩-এর বেশি। ভূমিকম্পের উৎসস্থল এভারেস্টের উত্তরের প্রবেশদ্বার তিংরি প্রদেশ। সেই ভূমিকম্পের রেশ এসে পড়েছে নেপাল এমনকি ভারতেও। ভোরবেলা কেঁপে উঠেছে কলকাতার মাটি। আক্রান্ত নেপাল। ঘটনার দিনই নেপালে মৃতের সংখ্যা ৩২ ছাড়িয়েছে। পাহাড়ের গায়ে প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে লাশের পাহাড়। কেঁপেছে কলকাতার মাটিও। কিন্তু কম্পন সেরকম ব্যাপক ছিল না। কিন্তু এই কম্পন ভয় ধরাচ্ছে। অনেকে ভাবতেই পারেন তিব্বত তো অনেক দূর! কিন্তু এই ভূমিকম্পের রেশ পড়েছে সিকিম ও দার্জিলিঙেও। শেষ কয়েক বছরে উন্নয়ন ঠেলায় পাহাড়ের ঢালেই গজিয়ে উঠছে শয়ে শয়ে বহুতল বাড়ি। পর্যটনের চাপেই তৈরি হচ্ছে রেল টানেল। আর তার খেসারত দিতে হয়েছে দার্জিলিঙের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষকে। জোশীমঠের মতোই ফাটল ধরেছে বহু ঘরবাড়িতে, আর এই সময় একটা ভূমিকম্প? কী পরিণতি হতে পারে দার্জিলিংয়ের?
প্রতি বছর ৪০ থেকে ৫০ মিটার করে সরছে ভারতীয় প্লেট। সংঘর্ষের ফলে প্রচুর শক্তি জমা হচ্ছে হিমালয়ের নীচে। যেন বারুদের ভাণ্ডার। মাঝে মধ্যে জমানো শক্তিই বেরিয়ে আসছে ভূমিকম্প রূপে। সিসমোলজিতে ‘সিসমিক জোন’ বা ‘সিসমিক বেল্ট’ বলতে বোঝায় বেশ খানিকটা অঞ্চল, যার চরিত্র একইরকম। এ ক্ষেত্রে সিসমিক জোন বলতে ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকাকে বোঝানো হয়। সেই জোনের মধ্যে আবার ভাগ রয়েছে। সেই হিসেবে কলকাতা রয়েছে সিসমিক জোন ৪-এ। নেপালে প্রায় ৯ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়েছিল ভূমিকম্প৷ কলকাতায় বা আশপাশে ভূমিকম্প হলে সংখ্যাটা পৌঁছতে পারে ২২ হাজারে। ধ্বংস স্তুপে পরিণত হতে পারে গোটা শহর। জখম হতে পারেন অন্তত আড়াই লক্ষ মানুষ৷ ভেঙে পড়তে পারে প্রায় অর্ধেক বাড়ি৷ কলকাতার কোন কোন অঞ্চলে রয়েছে লাল সতর্কতা? তবু কি সব নিয়ম মেনে হচ্ছে উন্নয়ন? কতটা বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে কলকাতা ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ? উত্তর খুঁজতেই বিশেষজ্ঞদের মতামত সহ TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ ‘ভয় ধরানো ভূমিকম্প’। ১২ জানুয়ারি, ২০২৫, রবিবার রাত ১০ টায়।
Be First to Comment