ডঃ পি সি সরকার (জুনিয়র) বিশ্বখ্যাত জাদুশিল্পী ও বিশিষ্ট লেখক। ১৮, জানুয়ারি, ২০২১। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় উইনস্টন চার্চিলের নাম ইংল্যাণ্ডে এত পপুলার হয়ে ওঠে যে, ওই সময়ে জন্ম নেওয়া, ঘরে-ঘরে, প্রায় প্রতিটি পুত্র সন্তানের নাম, তাঁরা রাখতেন ‘উইনস্টন’ বলে। ওদেশের প্রখ্যাত ‘পাঞ্চ’ পত্রিকায় প্রকাশ, “কেউ যদি তখন কোনোও মহল্লায় গিয়ে, আকাশের দিকে তাকিয়ে, “উইনস্টন” বলে সজোরে চেঁচিয়ে হাঁক দেন, তো তাহলে প্রায় প্রতিটা বাড়ি থেকেই নাকি,-“হ্যাঁ,কে ? আসছি !” ইত্যাদি বলে বাচ্চা ছেলের জবাব পাওয়া যাবে। “
এতই ছিল নাকি তাঁর নামের মহিমা এবং ব্যাপক পপুলারিটি ! সত্যি কি মিথ্যে জানিনা, কারণ তখন রাজনৈতিক কারণে চার্চিলের প্রতি আস্থা বাড়াবার জন্য ওরকম প্রচার করার প্রয়োজন এবং রেওয়াজ চালু ছিলো।
তবে একটা কথা সত্যি, ‘অসম্ভবকে সম্ভব’ হওয়ানোর প্রতীক হিসেবে আমার বাবার নামটা তখন সৌভাগ্য -শিকারীদের খুব মন-পসন্দ্ ছিলো।কথাই উঠেছিলো
” Sorcar and Success are synonymous” ; “সর্ব সাফল্যের শ্রেষ্ঠ প্রতীক” ;”যে ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তার খুব ক্ষতি, সর্বনাশ হয়” ইত্যাদি। প্রচুর নাকি উদাহরণ আছে। খু---ব দরিদ্র অবস্থা থেকে উঠিয়ে, যেন আদর করেই কোলে তুলে নিয়ে, সৌভাগ্য লক্ষ্মী আমার বাবার সঙ্গে চির জীবন ধরে বাঁধা ছিলেন। সেজন্য, বাবা কখনোও কোথাও হারেন নি। কারুর বিরুদ্ধে অভিযোগও নেই। সদা হাস্য মুখ। এ জিনিষ বিদেশের অনেকের নজরে আসে। তাঁকে তাঁদের দেশেই নাগরিক হয়ে থেকে যেতে বলেছিলেন। থাকেন নি। স্বাভিমানী বাঙাল। একটা মজাদার খবরের কাটিং পেলাম। কপি দিলাম। যাঁরা বুঝবার, তাঁরাই এর গুরুত্ব বুঝতে পারবেন। যাঁরা নন, তাঁদের মাথায় গজাল দিয়ে মারলেও ঢুকবে না। কেন যে ঢোকেনা, সেটা আমার মাথাতেও ঢোকে না।
Be First to Comment