গোপাল দেবনাথ : কলকাতা, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১। মৎসপ্রিয় বাঙালি। বিশ্বের যেই প্রান্তে বাস করুন না কেন বাঙালিদের অতিপ্রিয় খাদ্য কিন্তু মৎস বা মাছ বলা যেতে পারে। সেই মাছ যদি ইলিশ হয় তাহলে তো কোনো কথাই নেই। এই রুপোলি শস্য ইলিশ মাছের কদর সারা বিশ্বজুড়ে বিরাজমান।
যদিও এই বাংলায় এই বছর ভালো ইলিশ মাছের দর্শন বাজারে খুব বেশি পাওয়া যায়নি। আর দাম মধ্যবিত্তের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। গত ১৬ বছর ধরে যে সমাজসেবী মানুষটি উৎসব প্রিয় বাঙালির কাছে নতুন একটি উৎসবের দিনের সূচনা করলেন নাম দিলেন ইলিশ উৎসব। মাছ নিয়ে যে একটা উৎসব হতে পারে সেটা দেখিয়ে দিলেন পরেশ পাল। বাঙালির ক্যালেন্ডারে নতুন একটি দিন যুক্ত হলো তার নাম হলো ইলিশ উৎসব। দুই বাংলার সবচেয়ে বড় জনপ্রিয় ইলিশ উৎসব প্রতি বছর এই কলকাতায় আয়োজিত হয়। এবার আসি মূল বিষয়ে আজ অর্থাৎ ৬ সেপ্টেম্বর কাঁকুরগাছি এ পি সি পার্কে বিধায়ক পরেশ পাল এর উদ্যোগে ও পূর্ব কলিকাতা সুভাষ মেলার সহযোগিতায় ১৭ তম বর্ষ গঙ্গা – পদ্মার ইলিশ উৎসব – ২০২১ এর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শ্রী সৌগত রায়, বিধান নগর পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর প্রধান শ্রীমতি কৃষ্ণা বসু, কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার জনাব তৌফিক হাসান, অগ্নিনির্বাপণ মন্ত্রী শ্রী সুজিৎ বসু, রাজ্যের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সায়নী ঘোষ,
প্রাক্তন বিধায়ক শ্রীমতি স্মিতা বক্সী, শ্রী সঞ্জয় বক্সী, পুরসভার কো অর্ডিনেটর অনিন্দ্য কিশোর রাউৎ, রাজেশ খান্না, অলকানন্দা দাস, রতন দে, তৃণমূল নেতা ডাঃ আলোক দাস, তারক চট্টোপাধ্যায়, বেলেঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ শ্রী প্রেমজিৎ চৌধুরী, নারকেলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শ্রী অরিন্দম ভট্টাচার্য,
সমাজসেবী রাজু নস্কর ও সমাজসেবী হাবু সাহা সহ বিশিষ্টজন এই অনুষ্ঠান মঞ্চেই বিধায়ক ও আয়োজক পরেশ পাল মঞ্চে উপস্থিত সকল অতিথিদের হাতে বাংলাদেশের রুপোলি শস্য সুস্বাদু ইলিশ মাছ তুলে দেন। এই ইলিশ উৎসব হওয়ার কথা ছিল গত ৫ই সেপ্টেম্বর।
কিন্তু বিশেষ কারণ বশতঃ এই উৎসব আয়োজন করা যায়নি বলে জানালেন উদ্যোক্তারা।
Be First to Comment