#করোনা আবহে বিউটি পার্লারের স্বাস্থ্য বিধি।#সংগীতা চৌধুরী : কলকাতা, ১৬ জুলাই, ২০২০।দেশজুড়ে ‘কোভিড-১৯’-এর প্রকোপ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে , তবু সরকারের নিয়ম শিথিলতার কারনে ঝুঁকি নিয়েই বেশ কিছুদিন ধরে সাধারন মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাত্রার দিকে এগোনোর চেষ্টা চালাচ্ছে। গত চার মাস ধরে গোটা পৃথিবীজুড়ে করোনাভাইরাস যে প্রলয়নৃত্য শুরু করেছে, তার হাত থেকে নিস্তার নেই আমজনতা থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের গন্য- মান্য ব্যক্তিদেরও। তা সত্ত্বেও মানুষ আবার তাদের পুরনো অভ্যেসকে ফিরে পেতে চাইছে।আনলক পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে সমস্ত দোকান, শপিংমল, ধর্মীয় স্হান সহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান খুলে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ই সৌন্দর্য সচেতন নারী ও পুরুষ দের জন্য বিভিন্ন বিউটি পার্লারের দ্বারও উন্মোচন হয়েছে। তবে সব জায়গাতেই বর্তমান করোনা আবহে কিছু স্বাস্থ্য বিধি মানার কথা বলা আছে। তাই প্রত্যেকটি স্হানই সরকারি নিয়মনীতি মেনে নিজের মত করে সেই সব নিয়মাবলী পালন করছে। বিউটি পার্লারের ক্ষেত্রে এই স্বাস্থ্য বিধি কতটা সচেতনতার সঙ্গে মানা হচ্ছে এখানে সে তথ্যই তুলে ধরা হল। দক্ষিণ কলকাতার আনোয়ার শাহ রোডের ওপর এক নামী পার্লার “শ্রী ‘স হেয়ার অ্যান্ড বিউটি সালোন” -এর কর্নধার যশোশ্রী রহমান জানালেন যে ,”আমাদের এখানে যখন ক্লায়েন্টরা আসেন প্রথমেই আমরা ওনাদের হাত ওয়াশ করাই , বাইরেই সেই ব্যবস্হা আছে। এরপর হাত স্যানিটাইজ করি আর সু- কাভার পরিয়ে দিই , যাতে বাইরের জীবানু জুতোর মাধ্যমে ভেতরে না আসতে পারে। পরবর্তী ধাপে ক্লায়েন্টের বডি স্যানিটাইজেশন করি।
ক্লায়েন্টকে পুরো জীবানু মুক্ত করার পর আমরা তাকে যে সিটে বসাই , সেই সিট ও স্যানিটাইজ করে দিই। আমাদের যে স্টাফরা বিউটি ট্রিটমেন্ট করছেন তারা সকলেই পিপিই কিট বা ডিসপোজেবল অ্যাপ্রন পড়েন। হাতে গ্ল্যাভস পড়ে নেন। প্রত্যেক ক্লায়েন্টের জন্য আলাদা গ্ল্যাভস ব্যবহার হয়। ক্ল্যায়েন্টদের ডিসপোজেবল তোয়ালে দেওয়া হয়। হেয়ার কাটিং এর ক্ষেত্রে ও ডিসপোজেবল শিট ব্যবহার করা হয়। এখানে সোশ্যাল ডিস্টেনসিং মেইনটেইন করার জন্য নূন্যতম তিন ফিট গ্যাপ দিয়ে দিয়ে বসানো হয়। আমাদের স্যালনের মাপ অনুযায়ী ছয় জনের বেশি ক্ল্যায়েন্টদের একসঙ্গে নেওয়া হয় না। তাই এখন অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে এখানে আসতে হয়। সোশ্যাল ডিস্টেন্স এর কারনে আমাদের স্টাফ সংখ্যা ও এখন লিমিটেড। আর একটা বিশেষ ব্যাপার হল, সংক্রমন এড়ানোর জন্য আমাদের স্টাফরা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত না করে আমাদের এখানেই থেকে যাচ্ছেন। এটা ক্ল্যায়েন্টদের ও অনেকটা নিরাপত্তা দিচ্ছে। বিউটি ট্রিটমেন্টের পর পার্লার ছাড়ার আগে আরেক বার ক্ল্যায়েন্টদের স্যানিটাইজেশন করা হয়। আমাদের ক্ল্যায়েন্টদের মধ্যে অনেক সেলিব্রিটি ও আছেন, সকলের সুরক্ষার ব্যাপারে কোন রকম ফাঁক রাখতে চাই না। তাই যে সব ক্ল্যায়েন্টরা এক বার সার্ভিস নিয়েছেন তারা নিয়মিতই আসছেন। আর যারা এখনও আসেন নি, দ্বিধাগ্রস্ত আছেন তারা বুঝতে পারছেন না যে স্বাস্থ্য বিধি আমরা কতটা মেনে চলার চেষ্টা করছি। সেই কারনে ক্ল্যায়েন্ট সংখ্যা এখন কিছুটা কমেছে।
” স্যানিটাইজার, গ্ল্যাভস, পিপিই কিট, ডিসপোজেবল তোয়ালে ইত্যাদি নানা সামগ্রী ব্যবহার হচ্ছে , এগুলো ক্ল্যায়েন্টদের কার ওপর কতটা প্রয়োগ হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করেই একটা আলাদা চার্জ নেওয়া হয় ৫০টাকা ১০০টাকা, ১৫০টাকা, ২০০টাকা – এই চারটি ধাপে বলে জানালেন পার্লারের কর্নধার। তবে নামী পার্লারে যারা যাচ্ছেন তাদের জন্য এই টাকার অঙ্কটা তেমন কিছু নয়, কিন্তু যারা সাধারন মানের পার্লারে যান তাদের জন্য এই ব্যয় সঙ্কুলান সম্ভবপর নয়, তাই সাধারন মানের পার্লারে থার্মাল স্ক্রিনিং ও স্যানিটাইজেশনের ওপর ভরসা করেই পার্লারে রূপ চর্চার জন্য যেতে হচ্ছে। সেই কারণে প্রতি মুহূর্তে সংক্রমণের ভয় থেকেই যাচ্ছে। বর্তমানে করোনা সংক্রমনের হার যে ভাবে উর্ধমুখী হয়েছে তাতে সকলকেই সচেতন ভাবে যে কোন পদক্ষেপ নিতে হবে। গ্রাহকদের উদ্যেশ্যে একটাই কথা বলতে পারি সস্তায় সার্ভিস নিতে গিয়ে সুরক্ষা র সাথে আপস করবেন না।
করোনা আবহে যে সকল বিউটি পার্লার স্বাস্থ্য বিধি মানছেন গ্রাহকদের সেখানেই যাওয়া উচিত………….
More from GeneralMore posts in General »
- প্রেস ক্লাব কলকাতায় বসন্ত উৎসব…।
- ৩২ তম বর্ষে পদার্পণ করল শ্রী শ্রী শান্তি হরিচাঁদ মন্দিরের বাৎসরিক উৎসব…।
- Navigating End-Stage Kidney Failure: Choosing Between Dialysis and Transplant for a Better Life….
- ‘রঙ দাও হে রঙিলা’ সঙ্গীত ভিডিওর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন…।
- চেন্নাইয়ের বিশ্বখ্যাত লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হাসপাতাল, রেলা হাসপাতাল, কলকাতায় তাদের প্রথম লিভার রান সফলভাবে আয়োজন করেছে, যার লক্ষ্য লিভারের অসুখ, অঙ্গদানের গুরুত্ব এবং লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা….।
- প্রেস রিলিজ লিভারের অসুখ সারাতে ১০০০ জনেরও বেশি লিভার রোগী, পরিবার এবং জনসাধারণ দৌড়লেন এই লিভার রানে ১৫০ জনেরও বেশি লিভার রোগী এবং তাঁদের পরিবার অংশগ্রহণ করেন। এই লিভার রান আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন রেলা হাসপাতালের সিইও ডাঃ ইলানকুমারন কালিয়ামূর্তি, যিনি এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগে তাঁর সহায়তা দান করেন। এই যুগান্তকারী অনুষ্ঠানের লক্ষ্য হল লিভার রোগী, তাঁদের পরিবার এবং জনসাধারণকে একসাথে এনে চিকিৎসা তহবিল সংগ্রহ এবং লিভারের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই লিভার রানে ২.৫ কিমি, ৫ কিমি এবং ১০ কিমি, এই তিনটি বিভাগে অংশ ছিল, যেগুলিতে সবধরনের ফিটনেস স্তরের অংশগ্রহণকারীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। ২.৫ কিলোমিটার বিভাগটি মূলত হাসপাতালের লিভার রোগীদের জন্য, যা তাঁদের প্রচুর সহ্যশক্তি, শুরুতেই দ্রুত শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। ৫ কিমি এবং ১০ কিমি বিভাগগুলি সাধারণ জনগণের জন্য, যা সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এই মহৎ উদ্দেশ্যে সমর্থন জানাতে একসাথে হতে উৎসাহ দেয়। এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে বলতে গিয়ে, রেলা হাসপাতালের সিইও ডাঃ ইলানকুমারন কালিয়ামূর্তি বলেন, “কলকাতায় আমাদের প্রথম লিভার রান শুরু করতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্ববোধ করছি। এই অনুষ্ঠানটি আমাদের লিভার রোগী, তাঁদের পরিবার এবং সমাজকে লিভার রোগ, লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনের মান, অঙ্গদানের তাৎপর্য এবং প্রতিস্থাপনের পর জীবনের মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির একটি যৌথ লক্ষ্যে একত্রিত করার সুযোগ করে দেয়।” রেলা হাসপাতালের হেপাটোলজি বিভাগের ডিরেক্টর ডাঃ দীনেশ জোথিমানি বলেন, “লিভারের রোগ বিশ্ব জুড়ে ক্রমশ বেড়ে চলা স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তার বিষয়, সারা বিশ্বে ৮০ কোটিরও বেশি মানুষ কোনও না কোনও ধরণের লিভারের রোগে ভুগছেন। কেবলমাত্র ভারতেই, আনুমানিক ৩০% জনসংখ্যা ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত। এটি মূলত জনসাধারণের মধ্যে খুব কম শারীরিক শ্রমের জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত। উদ্বেগের বিষয়, লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যান্সার এখন দেশে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি। শুরুতেই দ্রুত রোগনির্ণয় এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনলে জীবনের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে পারে এবং ‘দ্য লিভার রান’-এর মতো ইভেন্টগুলি সচেতনতা বৃদ্ধিতে এবং লিভারের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।” এই লিভার রানের উদ্দেশ্য হল লিভারের রোগ, অঙ্গদানের গুরুত্ব এবং লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনের মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। কলকাতা, ৯ মার্চ ২০২৫: চেন্নাইয়ের বিশ্বখ্যাত লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হাসপাতাল, রেলা হাসপাতাল, কলকাতায় তাদের প্রথম লিভার রান সফলভাবে আয়োজন করেছে, যার লক্ষ্য লিভারের অসুখ, অঙ্গদানের গুরুত্ব এবং লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা….।
Be First to Comment