শতভিষা দত্ত, কলকাতা, ২৩ মে, ২০২০। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় আজ প্রশাসনিক বৈঠক হল কাকদ্বীপে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর তিনি সাগর এলাকায় পরিদর্শনে যান। দুর্গতদের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণের জন্য বরাবরের মতো এবারও সাহায্য চেয়েছেন। তিনি বলেন, কম্যুনিটি কিচেন এর প্রয়োজন রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এমন পরিষেবা দিতে পারে ভারত সেবাশ্রম সংঘ। ফলে তাদের সাহায্য দরকার হয়ে পড়েছে। যদিও অন্যান্যবারের মত ঘূর্ণিঝড় উম-পুনের তান্ডবেও সহযোগিতার জন্য সঙ্ঘের তরফে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুতি আগেই নেওয়া হয়েছিল।
সম্মতি মেলার পর ঐ কাজে নামার অপেক্ষা। সুতরাং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার আগেই তা ছোট আকারে শুরু হয়। এবার আরো বড় পরিসরেই হবে। উল্লেখ্য, উম-পুনের দাপটে বিধ্বস্ত এলাকায় রান্না করা খাবার বিতরন শুরু করেছে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ।
সঙ্ঘের প্রধান সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ মহারাজ এ প্রসঙ্গে বলেন, উম্পুন আছড়ে পড়ে বুধবার। উত্তর ২৪ পরগনার মহেন্দ্রগঞ্জে বৃহস্পতিবার থেকে রান্না খাবার বিতরন শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হিঙ্গলগঞ্জ ও যোগেশগঞ্জে ২০ হাজার দুর্গতদের মধ্যে রান্না করা খাবার দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাল, ডাল ও অন্যান্য সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এর ফলে, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সঙ্ঘের সন্ন্যাসী ও স্বেচ্ছাসেবকরা উত্তর ও দক্ষিন ২৪ পরগনার জেলার বিস্তীর্ন উম-পুন কবলিত এলাকায় গৃহহীন মানুষদের রান্না করা খাবার দেওয়ার কাজ করবে।
আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার থেকে দুই ২৪ পরগনা জেলায় পুরোদমে এই কাজ হবে। এই কারণে আজ, শনিবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের শাখা কেন্দ্রগুলিতে সন্ন্যাসী ও স্বেচ্ছাসেবকরা পৌঁছে গিয়েছেন। সঙ্ঘের প্রধান আরো জানিয়েছেন, দক্ষিন ২৪ পরগণার হাসনাবাদে বহু মানুষ ঘরছাড়া। দাসপাড়ায় নদীবাঁধ ভেঙে ৮০০ পরিবার গৃহহীন। রাঙাবেলিয়ায় আধ কিলোমিটার রাস্তা ভেঙেছে।
এর ফলে, গ্রামে জল ঢুকেছে। এছাড়াও হরেকৃষ্ণপুর, ফিশারিপাড়া, গোসাবা সহ বেশ কিছু জায়গাতেও রবিবার থেকে রান্না করা খাবার বিতরন শুরু হতে চলেছে। উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্যান্য এলাকাতেও তারপর থেকেই শুরু হয়ে যাবে।
Be First to Comment