গোপাল দেবনাথ : কলকাতা, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫। জন্মিলে মরিতে হবে এই কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু সেই মানুষ যদি হঠাৎ করে ইহলোক ত্যাগ করে চলে যায় তাহলে তাদের পরিবারের কথা একবার ভেবে দেখুন। সেই সঙ্গীতশিল্পী মানুষটি যদি সকলের প্রিয় পাত্রী হয়। আমি বলছি অভিনেতা রাহুল বর্মন এর সহধর্মিনী অপরাজিতার কথা।

অপরাজিতা কে মৃত্যুর কাছে পরাজিত হতে হল গত ২১শে জুন ২০২৫। আকাশ ভাঙ্গা দুঃসংবাদ। সকল কে কাঁদিয়ে সব মায়া ত্যাগ করে সদা হাসি খুশি অপরাজিতা বর্মণ পারি দিয়েছে মহাশূন্যের পথে।
অপরাজিতার স্মৃতির উদ্দেশ্যে এবং তার অগণিত ভক্তের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসাকে পাথেয় করে গত ২১শে সেপ্টেম্বর, মহালয়ার দিনে উত্তম মঞ্চে সন্ধ্যাবেলায় তার ফেলে যাওয়া কিছু কাজকে সামনে রেখে একটি স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো । সকলের ভালোবাসায় অপরাজিতাকে করে তুলেছে,
“অপরাজেয় অপরাজিতা ”।
“অপরাজিতা আমি
অপরাজেয় তুমি।
নিয়তির খেলায় গিয়েছি সুদূরে
কথায় ও সুরে বাঁচি।”
সুন্দর এই সন্ধ্যায় কথায়, গানে, কবিতায় ও নাচে অনুষ্ঠানটা হয়ে উঠছিল এক অনন্য ও স্মৃতিমেদুর। মনটা হারিয়ে গিয়েছিল, মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছিল। বহু ভক্তের চোখে জল দেখা গেল। মনে পরছিল অনেক পুরোনো কথা রাহুল-অপরাজিতর কথা, দু’জন দুজনের কথা সেইসাথে দীর্ঘ সম্পর্কের কথা। অনুষ্ঠান মঞ্চে ছিল চাঁদের হাট। সেদিনের সন্ধ্যায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী -নৃত্যশিল্পী দেবশ্রী রায়, মমতা শংকর, সঙ্গে গানে ছিলেন জোজো, মনোময় ভট্টাচার্য্য, সৈকত মিত্র, লাজবন্তী রায়, অরুনাভ চট্টোপাধ্যয়। আবৃত্তি-তে সুতপা বন্দোপাধ্যয়, অভিনেতা বিশ্বজিত চক্রবর্তী রায়া ভট্টাচার্য্য, সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, বিজয়লক্ষী বর্মণ, মুক্তোধারা বসু। নৃত্যে অনিন্দিতা ব্যনার্জী। বিধায়ক শ্রী দেবাশীষ কুমার-এর উপস্থিতি এবং তার স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানটির অন্য মাত্রা যোগ করে। রাহুল বর্মণের আবেগ-জড়িত কন্ঠে” আমি তোমায় ভালবাসি” এই অনুষ্ঠানের সেরা পাওনা।
সুন্দর সঞ্চালনায় সমগ্র অনুষ্ঠানটি প্রণবন্ত হয়ে উঠেছিল যার দায়িত্বে ছিলেন তিনি হলেন দেবলীনা দত্ত, চৈতী ঘোষাল, দেবদূত ঘোষ ও বিশিষ্ট সাংবাদিক গৌতম ভট্টাচার্য্য।
সকলের অতিপ্রিয় অপরাজিতা, অপারাজেয় হয়ে থাকুক আমাদের সকলের অন্তরে।















Be First to Comment