Press "Enter" to skip to content

প্রকাশিত হল সুধীর কুমার মিত্রের ‘বাংলার পাঁচ স্মরণীয় বিপ্লবী’….।

Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ২৬ নভেম্বর ২০২৪। ক্যালকাটা কালচারাল সেন্টার গত ২৩ নভেম্বর এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে প্রকাশ করল সুধীর কুমার মিত্রের ‘বাংলার পাঁচ স্মরণীয় বিপ্লবী’ বইটি। তুহিনা প্রকাশনীর সহযোগিতায় পৃথক পাঁচটি বইকে একটি মলাটে ধরা হয়েছে। যুক্তিহীনতা,নৈরাজ্যের এই সময়ে অনুষ্ঠানের শুরুতে রবীন্দ্রনাথের আশ্রয়৷ নিলেন৷ উদ্বোধনী সঙ্গীত গায়ক সুমন ভট্টাচার্য।আমি মারের সাগর পাড়ি দেব, তোমারি তরে মা আমাদের নতুন আশা জাগাল নতুন প্রেরণা যোগাল। পয়লা এপ্রিল সেন্টারের কার্যকরী সভাপতি প্রয়াত সুনীল দাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নীরবতা পালন করা হ’ল। তাঁর সম্পর্কে বিশদে জানালেন মনীষা রক্ষিত। সন্ধি মুখোপাধ্যায় বললেন প্রকাশিত বইটি নিয়ে।মধুরিমা সেনের গবেষণালব্ধ ৯২৮ জন নারী স্বাধীনতা সংগ্রামীর কথা উঠে এল তাঁর ভাষণে।বিপ্লবীরা চেয়েছিলেন অত্যাচার থেকে মুক্তি এবং আইনের শাসন।সে স্বপ্ন পূরণের আশা নিয়ে পেশ হ’ল তাঁর কথা।সম্পাদক অধ্যাপক পল্লব মিত্র প্রকাশক হিমাংশু মাইতিকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন।হিমাংশুকে উত্তরীয় পরিয়ে দিলেন বম্বে হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়।এরপরেই বইটি প্রকাশ করলেন তিনি।১৯৪৮ থেকে ১৯৫১ সালে প্রকাশিত পাঁচটি বই এবার একত্রে প্রকাশিত হ’ল।ইতিহাসবিদ শুভেন্দু মজুমদার শহিদ কানাইলাল দত্তকে নিয়ে বললেন।৮৬জন ফাঁসিতে প্রাণ দেন তার মধ্যে ৪১জন বাঙালি।কানাইলাল ষষ্ঠ ভারতীয় এবং দ্বিতীয় বাঙালি যিনি ফাঁসির মঞ্চে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন।বি এ পাশ কানাইলাল বুঝেছিলেন দারিদ্র এবং কর্মহীনতা মানুষকে বিদ্রোহী করে তোলে।উপলব্ধি করেছিলেন নরেন গোঁসাইয়ের মতো লোকের সাহায্য ছাড়া ব্রিটিশদের পক্ষে এত বড় দেশ শাসন করা সম্ভব নয়।স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ভুলে থাকাকে তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।এরপরে সফিউন্নেসা বলেন প্রফুল্ল চাকিকে নিয়ে।বাল্যাবস্থায় তিনি উত্তাল সময়ের সাক্ষী ছিলেন।কার্লাইল আইনকে অগ্রাহ্য করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন আন্দোলনে।শিক্ষক ব্রজেন্দ্রনাথ রায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কলকাতায় এসে সব কাজেই অগ্রণী ভূমিকা নেন।তাঁদের যেন আমরা কোন দিন ভুলে না যাই এই ছিল সফিউন্নেসার আবেদন। বেথুন কলেজ ও প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডঃ মমতা রায় বলেন, বিশেষ বিশেষ দিনে শুধু স্মরণ করলে হবে না। বেথুন কলেজের মেয়েদের অসমসাহসিকতার কথা বলেন তিনি।বীণা দাসের উদাহরণ দেন। শমীক্স্বপন ঘোষ বললেন রাসবিহারী বসুর নাটকীয় বিপ্লবী জীবন নিয়ে।তিনিই প্রথম ফৌজে ঢুকে রণকৌশল শিখে জওয়ানদের নিয়ে বিদ্রোহ করার কথা।তাঁর চাতুর্যের কথা শুনে শ্রোতারা অবাক হয়ে যান।রাসবিহারী নিয়ে আরও গবেষণা করার প্রয়োজনের কথা তুললেন গবেষক।বরণ করে নেওয়া হ’ল চিত্ততোষবাবুকে।ডঃ কৃষ্ণপদ দাস এবং সুস্মিতা দাস রবীন্দ্রনাথের নৈবেদ্যের কবিতা আবৃত্তি করেন।সর্বাণী মুখোপাধ্যায় বলেন বাঘা যতীন সম্পর্কে যাঁকে ছাড়া ভারতের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাস সম্পূর্ণ নয়। তাঁর ঐতিহ্য আজও আমরা বহন করে চলেছি।আমাদের নেতাজি সম্পর্কে বললেন জয়ন্ত চৌধুরী।তিনি নেতাজি অন্তর্ধান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিলেন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভারতীয় জাদুঘরের প্রাক্তন অধিকর্তা শক্তিকালী বসু।

More from BooksMore posts in Books »
More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.