নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪। আজ থেকে ঠিক ১২৫ বছর আগে জগজ্জননী মা সারদাদেবী যে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা করে আশীর্বাণী উচ্চারণ করেন “এখান থেকে শিক্ষাপ্রাপ্ত মেয়েরা যেন আদর্শ বালিকা হয়ে ওঠে” , স্বামীজির স্বপ্নের সেই বিদ্যালয় আজও সমহিমায় উজ্জ্বল। গত বুধবার ১৩ ই নভেম্বর কালের গর্ভে ১২৫ টি প্রদীপ জ্বালিয়ে ১২৬ এর দিকে এগোলো নিবেদিতা বিদ্যালয়।ওই দিন ১২৫ তম বর্ষের সমাপ্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় বাগবাজারের গিরিশ মঞ্চে। বেদমন্ত্র পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। এরপর শ্রী সারদা মঠের সাধারণ সম্পাদিকা প্রব্রাজিকা অতন্দ্রপ্রানা মাতাজী সকলকে ওই বিশেষ দিনের গুরুত্ব বুঝিয়ে দেন ও ছাত্রী, শিক্ষিকা এবং অভিভাবক সকলকে সিস্টারের স্নেহধন্যা হয়ে আদর্শ জীবন যাপন করার কথা বলেন। আন্তঃ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নিবেদিতার মেয়েরা ভারতের প্রতি তাঁর প্রাণঢালা সেবাকে ফুটিয়ে তোলে। এরপর পিয়ানো, সরোদ ও তবলার মাধ্যমে প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটিয়ে সিস্টার কে শ্রদ্ধা জানান প্রমিত সরকার, শুভ্রজ্যোতি সেন ও অর্পণ ভট্টাচার্য। এদিন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী ব্রততী বন্দোপাধ্যায়ও আবৃত্তি পরিবেশনার মাধ্যমে ভগিনী নিবেদিতা আরাধনা করেন। “আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণও ধুলার তলে” তার কবিতার এই লাইনগুলি সেদিন প্রত্যেকের মাথা নত করে দিয়েছিল লোকমাতার চরণে। সবশেষে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। রামকৃষ্ণ সারদা মিশন সিস্টার নিবেদিতা গার্লস স্কুলের সহ-সম্পাদিকা প্রব্রাজিকা সোমপ্রানা মাতাজি বলেন, “স্বামীজি ও ভগিনী নিবেদিতার আদর্শকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এই ঐতিহাসিক বিদ্যালয়টিকে আরো এগিয়ে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য। পরিশেষে হাতে মিষ্টি এবং মুখে একরাশ পরিতৃপ্তির হাসি নিয়ে সকলে বাড়ি ফিরে যায়। সকলের অন্তরে তখন একটা গানই বাজছে “ভুলিনি ভগিনী ভুলিনি তোমায়, তব মহা বাণী আজিও জাগায়”
তথ্য সহায়তা ও ছবি – সুবল সাহা
Be First to Comment