অশোক দে : কলকাতা, ১৯ মে ২০২৩। প্রাচীন কলা কেন্দ্র-র সৌজন্যে ১৮ তম গুরু এম এল কোসার অ্যাওয়ার্ড নামের সান্ধ্য আসরটি গত বুধবার ১৭ মে সম্পন্ন হল কলকাতার জ্ঞানমঞ্চে। ২০০৫ থেকে শুরু হওয়া এই অ্যাওয়ার্ডের মধ্যে আছেন শাস্ত্রীয় সংগীতের বিভিন্ন ঘরানার কিংবদন্তি শিল্পীরা। আছেন সীতারা দেবী, পণ্ডিত বিরজু মহারাজ (কথক), পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা (সন্তুর), পণ্ডিত বিশ্বমোহন ভাট (মোহন বীণা), পন্ডিত মণিলাল নাগ, উস্তাদ শাহিদ পারভেজ(সেতার), পণ্ডিত শঙ্কর ঘোষ, পণ্ডিত গোবিন্দ বোস( তবলা), পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী (কণ্ঠশিল্পী) প্রমুখ। এবারের সম্মানিত গুণী শিল্পীরা হলেন বঙ্গবিভূষণ পণ্ডিত অনিন্দ্য চ্যাটার্জী (তবলা), শ্যামল চ্যাটার্জী (সেতার), পণ্ডিত নরেন্দ্রনাথ ধর (সরোদ), পণ্ডিত স্বপন শিব ও স্বরাজ ভট্টাচার্য (তবলা)। এছাড়া এদিন সম্মানিত হন ড. চন্দ্রদীপা ঘোষ (মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য)।
সংগীতের জীবনব্যাপী অবদানের জন্য প্রদান করা হয় ২৫ হাজার টাকা সাম্মানিক, শাল এবং প্রতিষ্ঠানের স্মারক ও মানপত্র। পুরস্কৃত হয়ে প্রত্যেক শিল্পী তাঁদের সাঙ্গীতিক জীবনের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ড. শোভা কোসার, ড. সমীরা কোসার এবং সচিব সজল কোসার।
পন্ডিত স্বপন শিব ও কন্যা রিম্পা শিব-র তিনতালে নিবদ্ধ যুগলবন্দী দিয়ে সংগীতের আসর শুরু হয়। উস্তাদ কেরামাতুল্লা খানের ১০৮ তম জন্মদিন উপলক্ষে এদের নিবেদন ছিল তাঁরই কিছু কম্পোজিশন। এছাড়া রিম্পা শুনিয়েছেন বাবার একটি রচনাও। রিম্পার ক্ষিপ্র আঙুলের চলনে আসর শ্রুতি মধুর হয়ে উঠেছিল। অভিজ্ঞ পিতা স্বপনের কাছেও রসিক শ্রোতারা পেলেন বিরল কিছু রচনা। হারমোনিয়ামে যোগ্য সহায়তা দিয়েছেন দিলীপ বিশ্বাস।
সংক্ষিপ্ত সময়ে পন্ডিত নরেন্দ্রনাথ ধরের সরোদ উপস্থাপনে ছিল পুরিয়া কল্যাণ। ছোট করে শোনান আলাপ,জোড় বিলম্বিত ও দ্রুত তিন তাল(বিস্তার,তান ও পারম্পরিক গৎ : স্থায়ী ও অন্তরা)। সঙ্গতে ছিলেন স্বরাজ ভট্টাচার্য। সবমিলিয়ে একটি মনোজ্ঞ সন্ধ্যা।
Be First to Comment